Home » মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় বাহিনীর এনকাউন্টারে খতম মহিলা মাওবাদী কমান্ডার, উদ্ধার একটি ইনসাস রাইফেল-সহ আরও বহু আগ্নেয়াস্ত্র

মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় বাহিনীর এনকাউন্টারে খতম মহিলা মাওবাদী কমান্ডার, উদ্ধার একটি ইনসাস রাইফেল-সহ আরও বহু আগ্নেয়াস্ত্র

সময় কলকাতা ডেস্ক:- মাওবাদী দমন অভিযানে ফের বড় সাফল্য। সোমবার সকালে ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল মাওবাদী কমান্ডার রেণুকার। দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দাদের হিটলিস্টে ছিলেন এই মহিলা কমান্ডার। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা। এনকাউন্টারে তাঁর মৃত্যুকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে নিরাপত্তাবাহিনী।

উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৩ সালে ছত্তিশগড়ে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসতেই সেই লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার রাত থেকে চলা অভিযানে ১১ জন মহিলা কমান্ডার-সহ মোট ১৭ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে মিলেছে বড় সাফল্য। এদিকে রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরে শুধু বস্তার রেঞ্জে এখনও পর্যন্ত ১১৯ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গাল জেলার বাসিন্দা ছিল এই রেণুকা ওরফে বানু। দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য ছিল সে। পাশাপাশি মাওবাদীদের মিডিয়া সেলের ইনচার্জের দায়িত্বেও ছিল রেণুকা। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর হিট লিস্টে ছিল এই মাওবাদী। তার খোঁজ পেতে ২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে প্রশাসন। অবশেষে তার মৃত্যু বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে প্রশাসন।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী অভিযানে নামে বিজাপুর জেলার দান্তেওয়াড়ায় ছত্তিশগড়-কর্নাটক সীমান্তবর্তী জঙ্গলে। সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছিল মাওবাদীদের একটি দল। নিশ্চিত খবরের ভিত্তিতে সোমবার অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে রেনুকা ও তার দল। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ দুপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর মৃত্যু হয় রেনুকার। মৃত ওই মাওবাদীর কাছ থেকে একটি ইনসাস রাইফেল-সহ আরও বহু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এদিন।

About Post Author