জানেন কি, জাল টাকার কারবার চলছে লটারি ব্যবসায়?
সময় কলকাতা ডেস্ক : লটারি নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই।সম্প্রতি লটারি- বিতর্কে রাজ্য জুড়ে চলছে আলোড়ন। লটারি ব্যবসা ঘিরে জাল জোচ্চুরির অভিযোগ উঠছে অহরহ। লটারির অস্বচ্ছ ও অন্ধকার দিক নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না সাধারণ মানুষের। লটারির চটকদারী বিজ্ঞাপন ও মিথ্যা প্রলোভনের প্রশ্নও উঠছে। নেতাদের নাম ও জড়িয়ে যাচ্ছে। বীরভূম জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে চলতে থাকা লটারি ব্যবসা যেন হয়ে উঠেছে বিতর্কের বীজতলা। এবার বীরভূমের এক লটারির টিকিটের দোকান থেকে জাল নোট উদ্ধার হওয়ার অভিযোগ উঠতেই বিতর্ক পেয়েছে নতুন মাত্রা। লটারির দোকানে কি করে চলছে জাল টাকার কারবার? এরকম প্রশ্ন উঠছে হরেকরকম।
হালে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের নাম জড়িয়েছে ডিয়ার লটারিকে ঘিরে । ডিয়ার লটারি নিয়ে অনেক তথ্য সামনে আসছে।এবার শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত শ্যামবাটি বাজার এলাকার রাস্তার পাশে লটারির দোকান থেকে কালার প্রিন্টার ও কিছু টাকার জাল নোট উদ্ধার পর্দাফাঁস হয়েছে।আরেকটি ঘটনা সামনে এসেছে যার সঙ্গে জুড়ে আছে লটারি ব্যবসা। সিআইডি আধিকারিকরা দাবি করেছেন, প্রচুর জাল নোট মিলেছে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন অভিযুক্ত প্রদীপ খাঁ দীর্ঘদিন ধরেই জেরক্স ও লটারির দোকান হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। ভেতরে কি চলছিল তাঁরা আদৌ জানতেন না,বলছেন তাঁরা। এদিকে লটারির দোকানের ভেতরে গোপনে যা চলছিল তা টের পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় তদন্তকারী আধিকারিকদের।
সূত্রের খবর,মঙ্গলবার গোপনসূত্রে খবর আসে সিআইডির কাছে।বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিআইডি আধিকারিকরা এসে কালার জেরক্স মেশিন ও বেশ কিছু টাকা উদ্ধার করেন। অতঃপর দোকানে তালা লাগিয়ে চলে যান আধিকারিকরা ।লাগোয়া দোকানদারদের বক্তব্য, সিআইডি পরিচয় দিয়েই তদন্তকারীরা এসেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী- তাঁরা একটি কালার প্রিন্টার ও জাল নোট উদ্ধার করে নিয়ে যান।
রাতে ঘটনাস্থলে যেতেই দেখা যায় -লটারির দোকানের সামনে আগুনে পোড়ানো কাগজ পড়ে আছে,মাটিতে পড়ে আছে একশো টাকার নোটও। কিন্তু এলাকাবাসী দোকানের সামনেই যাচ্ছেন না। লটারির দোকানে জাল টাকার কারবার চলার ঘটনা নিয়ে বীরভূমে পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানান সিআইডির কাছে আগে থেকে খবর ছিল , জাল নোটের ব্যবসা চলছিল।
জাল টাকার কারবার ধরা পড়ার পরে সবার মুখে একটাই কথা। তাঁরা বলছেন যতরাজ্যের জালিয়াতির সঙ্গে কি লটারির যোগ থাকবেই? গভীরে ঢুকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে উত্তর। লটারি ব্যবসার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ পেতে নড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। এবার লটারি-ব্যবসার সাথে অশুভ চক্রের যোগসাজসের প্রমান হাতেনাতে মিলতেই প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়বে,বলাই বাহুল্য।।
More Stories
অবৈধ ভাবে এসে নদিয়ায় গা ঢাকা! বাংলাদেশ ফেরার পথে দালাল-সহ ধৃত দুই অনুপ্রবেশকারী
নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে, নির্দেশ শিয়ালদহ আদালতের
দাড়ি গোঁফ কাটিয়েও শেষরক্ষা হল না, ডোমকলে পুলিশের উপর হামলায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত