সময় কলকাতা ডেস্ক :
নেপাল যাওয়ার পথে বনদপ্তরের তৎপরতায় উদ্ধার দুষ্প্রাপ্য সোনালি তক্ষক। পর্দাফাঁস আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের । বেলাকোবায় বনদপ্তরের জালে তিন ভিনরাজ্যের পাচারকারী।
প্রসঙ্গত, গোল্ডেন গেকো বা সোনালি তক্ষক পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেও একে সৌভাগ্যের প্রতীক ধরা হয়। অঞ্চল বিশেষে সুন্দর এই বন্যপ্রাণী হয়ে উঠেছে বহুমূল্য।
বেশ কিছুদিন ধরেই জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে বেড়েই চলছিল পাচারকারীদের কার্যকলাপ।দিন দুয়েক আগেই পাচার করার সময় প্যাঙ্গুলিনের আঁশ বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।এবার ওদালাবাড়িতে পাচারের আগেই একটি সোনালি তক্ষক উদ্ধার করল বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের কর্মীরা। এই ঘটনায় তিন বন্যপ্রান পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বনদপ্তর। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি সোনালি তক্ষক। ধৃতদের মধ্যে দু জন অরুনাচল প্রদেশ ও একজন আসামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বনদপ্তর জানিয়েছে,তাদের কাছে গোপন সূত্রে বিরল বন্যপ্রাণী পাচার সংক্রান্ত খবর আসে। সূত্র মারফত,একটি সোনালি তক্ষক ওদলাবাড়ি দিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে পাচার হবে। ঠিক সেই মত,গত শুক্রবার রাতে বেলাকোবা বনদপ্তরের টিম ওদলাবাড়িতে পৌছায়। স্থানীয় লামা হোটেলের কাছে পাচারকারিদের একটি আসামে রেজিস্ট্রেশন হওয়া গাড়ি থেকে আটক করে বনবিভাগের বিশেষ দল।তক্ষকবাহী পাচারকারীদের গাড়িতে ছিল নাদু রাম পাগাগ, ঠুটান জাম্বা এবং নরবাহাদুর লামা।এই তিন অভিযুক্ত পাচারকারীকে গ্রেফতার করে বনদপ্তর। এর মধ্যে নাদু রাম পাগাগ ও নরবাহাদুর লামা আসামের বাসিন্দা এবং ঠুটান জাম্বা অরুনাচলের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে একটি সোনালি তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে। বনদপ্তর জানিয়েছে, সোনালি তক্ষক বা গোল্ডেন গেকোর বাজারমূল্য অন্তত পঁচিশ লক্ষ টাকা।
বেলাকোবা বনবিভাগের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত বলেন এই তক্ষকটি মেঘালয় থেকে শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে যাওয়ার কথা ছিল।অভিযুক্তদের শনিবার আদালতে তোলা হয়।।
More Stories
হাওড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে কান ধরে ওঠবোস
বিধানসভায় স্পিকারের কাছে চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল, কী দাবি?
‘দেউলিয়া’ প্রতিষ্ঠান, নিয়োগ বন্ধ! অথৈ জলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠনপাঠন