Home » কোন পন্থায় পুলিশকে বোকা বানিয়ে দোকান লুঠ হচ্ছে?

কোন পন্থায় পুলিশকে বোকা বানিয়ে দোকান লুঠ হচ্ছে?

সময় কলকাতা ডেস্ক : লক্ষ লক্ষ টাকার জিনিস লুঠ হয়ে যাচ্ছে দোকান থেকে। চুরি ক্রমেই বেড়ে চলেছে উত্তরচব্বিশ পরগনা জেলা জুড়ে। শনিবার শাসন ও দেগঙ্গার  তিনটি দোকানে একই কায়দায় চুরি ।সুরক্ষাহীন ব্যবসায়ীদের কপালে ভাঁজ।

একইদিনে এক মুদির দোকান ও একটি সোনার দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে শাসন থানার অন্তর্গত সরদার আটি চোলপুর বাজারে। একই কায়দায় চুরি হয়েছে দেগঙ্গার চাকলায় ডেকোরেটার্সের দোকানে।

বিস্তীর্ণ এলাকায় দুষ্কৃতীরা মূলত লোহার শাবল ব্যবহার করে বা চাঙ্গড় দিয়ে দোকানের শাটার ভেঙে ফেলে  লুঠতরাজ চালিয়েছে ।আইনরক্ষকদের তোয়াক্কা না করেই চলছে চুরি।অনেকক্ষেত্রে থানা বা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে চলছে লুঠপাট।মনে করা হচ্ছে যেভাবে একই পন্থা নিয়ে নিঃশব্দে সাটার ভাঙছে দুষ্কৃতীরা তা হয়তো একই দলের কাজ। এর পেছনে বড় মাথা রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। পুলিশকে বোকা বানিয়ে সাটারের তলার দিকে বিশেষ কায়দায় জোর দিয়ে নিঃশব্দে চুরির পদ্ধতি দেখে হতবিহ্বল সাধারণ মানুষ।সুরক্ষার অভাবে আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রতিটি ক্ষেত্রে লুন্ঠিত দোকানে সকালে এসে দেখা গেছে শাটার ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে । জনবহুল এলাকা বা পুলিশ ফাঁড়ির পাশে থাকলেও নিশ্চিন্তে, নীরবে অবলীলায় তাদের কাজ সেরে চলে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।

এদিন প্রমাণ লোপাট করতে দুষ্কৃতীরা শাসনের সোনার দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। এদিন শাসনে সোনা এবং মুদির দোকানের লুন্ঠিত দ্রব্যের সর্বসমেত অর্থমূল্য আনুমানিক নয় লক্ষ টাকা।চাকলার দোকানে চার লক্ষ টাকার সামগ্রী লুঠ হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে শাসন থানা ও চাকলা পুলিশ ফাঁড়ি তিনটি চুরির তদন্ত করলেও স্বস্তিতে নেই শাসন-দেগঙ্গার ব্যবসায়ীরা।।

About Post Author