Home » সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানার জমির ভবিতব্য কি মাছের ভেড়ি ?

সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানার জমির ভবিতব্য কি মাছের ভেড়ি ?

সময় কলকাতা ডেস্ক: সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানার জমির ভবিতব্য কি তাহলে মাছের ভেড়ি ? কারণ সিঙ্গুরের টাটার কারখানার জন্য নেওয়া জমি ফিরে পাওয়ার পর ওই জমিতে মাছ চাষের ভেড়ি করার জন্য বড় বড় পুকুর তৈরির কাজ শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন চাষি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেসিবি মেশিন দিয়ে চলছে পুকুর খোঁড়ার কাজ। একাধিকবার রাজ্য তথা দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসা সিঙ্গুরের কারখানার জমিতে মাটি খোঁড়ার কাজ দেখার জন্য ভিড় জমছে।

বাম আমলে সিঙ্গুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে টাটাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়।পাঁচিল দিয়ে কারখানার জমি ঘেরার কাজ শুরু হওয়ার পরেই তিন ফসলী চাষের জমি বাঁচাতে বাম আমলে কৃষিজমিরক্ষা কমিটি গঠন করে আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল। বর্তমান শাসকদলের আন্দোলনের জেরে কারখানা তৈরির পরেও তা ফেলে রেখে বাংলা ছেড়েছিল টাটারা।কৃষিরক্ষা কমিটির আন্দোলনের মামলা  সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর আদালতের নির্দেশে টাটাদের কারখানার শেড ভেঙে ফেলা হয়।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সরকার সিঙ্গুরের চাষিদের জমি ফিরিয়ে দেয়।জমি ফিরিয়ে দেওয়ার সময় সিঙ্গুরের জমিতে চাষাবাদের পাশাপাশি ফের শিল্প গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্ত রাজ্য সরকারের ফেরত দেওয়া জমিতে ভাঙা কারখানার ইট সিমেন্টের টুকরোয় ভরে থাকায় অধিকাংশ জমিতেই চাষ শুরু করা যায় নি।রাজ্য সরকারের তরফে নতুন করে শিল্প গড়ে তোলার কোনও উদ্যোগও দেখা য়ায় নি। তাই পড়ে থাকা অনাবাদী জমি থেকে আয়ের জন্য ভেড়ি তৈরি করে মাছ চাষের পরিকল্পনা নিয়েছেন বেশ কয়েকজন চাষি।

 

টাটার জমিতে শেষ পর্যন্ত মাছের ভেড়ি খোঁড়ার কাজ আরম্ভ হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সিঙ্গুরের ওই জমিতে যে চাষআবাদ সম্ভব নয় জমি ফেরত দেওয়ার সময়েই আমরা তা বলেছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সর্ষে বীজ বুনে মানুষকে বোকা বানিয়েছেন। এখন মানুষ তা বুঝতে পারছেন। তাঁরা এর যোগ্য জবাব দেবে।

যদিও দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ভিত্তিহীন বলবে দাবি করেছেন সিঙ্গুরে কৃষিজমিরক্ষা কমিটির অন্যতম নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তিনি বলেন, সিঙ্গুরের জমিতে চাষ হচ্ছে কিনা উনি এসে দেখে যান।

About Post Author