সময় কলকাতা ডেস্ক: ভোজ্য তেলে ভেজাল কারবারের হদিশ মিলল হাওড়ার ডোমজুড়ে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এনফোর্সম্যান্ট ব্রাঞ্চের সদস্যরা ডোমজুড় থানার জালান কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেটের নয় নম্বরগলিতে ভোজ্য তেন প্রস্তুতকারী ওই সংস্থার গোডাউনে হানা দেয়।গোডাউনে হানা দিয়েই চক্ষুচড়কগাছ এনফোর্সম্যান্ট ব্রাঞ্চের সদস্যদের।সরষের তেলের নাম করে ওই তেলের সঙ্গে ৬০ শতাংশ রাইসব্যান তেল মেশাচ্ছে ওই সংস্থা।এরপরেই প্রায় টন মজুত তেল ও বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা প্রায় এক হাজার টিন তেল আটক করে।পাশাপাশি ওই সময় কারখানায় কর্মরত কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই অন্য একটি কোম্পানির ভোজ্য তেল সেখানে নিয়ে এসে চলত ভেজাল মেশানোর কাজ। এরপর সেই তেল আরতি নামে নিজেদের সংস্থার ব্র্যান্ডিংয়ে পৌঁছে দেওয়া হতো কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলির বাজারে। গোপন সূত্রে সেই খবর আসে ইবি কর্তাদের কাছে। এরপরই এদিন দুপুরে তারা হানা দেয় ওই কারখানায়।আটক করা হয় ভেজাল তেল। কোথা থেকে ওই তেল নিয়ে আসা হত এবং তাতে কি ধরনের ভেজাল মেশানো হতো, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দা কর্তারা। পাশাপাশি তেলগুলি কলকাতার বাজারে কিভাবে বিক্রি করা হত তাও খতিয়ে দেখছে। ধৃত কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কারখানাটির মালিকের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
যদিও ভেজাল মেশানোর কথা সংবাদ মাধ্যমের কাছে অস্বীকার করেছেন কারখানার সুপারভাইজর। তাঁর দাবি নিয়ম মেনেই তাঁরা কাজ করছিলেন।
More Stories
সমাজ মাধ্যমে পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট। যার জেরে খেতে হল গণপিটুনি বারাসাতের এক মাংস বিক্রেতাকে
‘যোগ্য’ শিক্ষকদের সঙ্গে একই মঞ্চে শিক্ষাকর্মীরাও
যান্ত্রিক বিভ্রাট, বন্ধ রইল মেট্রো চলাচল নোয়াপাড়া থেকে দমদমের মাঝে