সময় কলকাতা ডেস্ক: বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েতে অনাস্থা এনে দলের প্রধানকেই সরালো তৃণমুল।মালদায় হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটেছে ।ঘটনার কথা জানাজানি হতেই জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যপক গুঞ্জন ছড়িয়েছে। পুরসভা ভোটের মুখে শাসকদেলের কোন্দ্বলকে কাটমানির খেলা বলে প্রচারে হাতিয়ার করছে। স্বাভাবিকভাবেই আচমকা এই অনাস্থার ঘটনায় বিপাকে শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব।
মালদার মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন নয়টি।২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ৯ টি আসনের মধ্যে চারটি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস। তিনটি পায় কংগ্রেস ও দুটি আসন পায় সিপিআইএম।সেই সময় জোট বেঁধে কংগ্রেস ও সিপিআইএম বোর্ড গঠন করে। প্রধান হন সিপিআইএমের তেরিনা খাতুন।পরিবর্তনের বাংলায় সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে ছয় মাস আগে ৫ জন সদস্যই যোগদেন তৃণমূলে।বিরোধীদের দখলে থাকা পঞ্চায়েত চলে আসে শাসক দলের কাছে।হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমুলের সভাপতি হজরত আলী সেই সময় সিপিএম ও কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যদের তৃণমুল কংগ্রেসে যোগদান করায়।বিরোধী শুন্য হয়ে যায় পঞ্চায়েত।তবে বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রধানরাই কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। তারপরেই দলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। আর তাতে সমর্থন করেন বর্তমান উপ-প্রধান। তাঁর সমর্থনেই এদিন অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়ে যায়। নতুন প্রধান হচ্ছেন জোসনারা খাতুন।
দলের প্রতীকে জয়ী সদস্যদের এভাবে অনাস্থা প্রস্তাব আনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃনমূলের ব্লক সভাপতি হজরত আলী।তাঁর অভিযোগ তাঁকে না জানিয়েই অনাস্থা আনা হয়েছে ।বিরোধী শুন্য পঞ্চায়েতে তৃণমুলের গোষ্ঠী কোন্দলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি।এই দিন বিজেপি জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেনন নিজেদের মধ্য ভাগবাটোয়ারা ঠিকভাবে হচ্ছিল না। তাই নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে। তৃণমূলের এটাই রাজনীতি। দুর্নীতি এবং কাটমানি ছাড়া তৃণমূল কিছু বোঝেনা বলে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া।
More Stories
পরিবারের অমতে বিয়ে করার কারণে মেয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করল পরিবার
আগামী সপ্তাহে ফুরফুরা শরিফ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী , নবান্নে নওশাদের সঙ্গে বৈঠকের এক সপ্তাহ পরই সফর
‘যদি কেউ বলে আইপ্যাক থেকে এসেছি ‘ কী বললেন অভিষেক ?