সময় কলকাতা ডেস্ক: শনিবার ভোর চারটের সময়, হাওড়া আমতার ছাত্র আনিস খানের বাড়িতে আসে সিটের প্রতিনিধিরা। সারদা খাঁ পাড়া হঠাৎই ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশবাহিনী। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার , আমতা-২ এর বিডিও মাসুদুর রহমান এবং হাওড়া গ্রামীনের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। আনিস খানের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্যই তাঁরা এসেছেন এমনটাই জানান স্থানীয় বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীরা কাগজপত্র দেখানোর কথা জানতে চাইলে উনারা তা দেখাতে পারে নি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এরপরে গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বিক্ষোভে সামিল হওয়া গ্রামবাসীদের দাবি, কলকাতা হাই কোর্ট সিটের আধিকারিকদের নির্দেশে দিয়েছিল সোমবার সকাল দশটার সময় আনিসের কবর থেকে মৃত দেহ বার করে ময়নাতদন্তের পাঠানো হবে। তাহলে কোন রকম বৈধ কাগজপত্র না নিয়ে রাতের অন্ধকারে কেন প্রশাসন লুকিয়ে মৃতদেহ তুলতে হাজির হল।এই অভিযোগে পুলিশকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। কবর থেকে আনিসের মৃতদেহ তোলার অনুমতি পত্রও দেখাতে পারেননি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমতা-২ ব্লকের বিডিও। ভোরে লুকিয়ে এইভাবে তুলতে আসাকে পুলিশের অন্য কোনো অভিপ্রায় আছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের লোকের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে এই বিশাল পুলিশবাহিনী সকাল ছটা নাগাদ এলাকা ছেড়ে চলে যায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, আলিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেল খুন করার অভিযোগ উঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।ছেলের খুনের কিনারা করতে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।
More Stories
পুলিশি তলবের খাঁড়ার মধ্যেই বোর্ডের শো-কজ! অস্বস্তিতে কর্মহারারা
তৃণমূলের প্ররোচনায় হিংসা, নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ! মুর্শিদাবাদ নিয়ে রিপোর্ট আদালত গঠিত কমিটির
‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি পাওয়ারা ‘অযোগ্য’ই: সুপ্রিম কোর্ট