সময় কলকাতা ডেস্ক : পুরসভা নির্বাচনে অনুব্রতের গড় বীরভূমের পাঁচ পুরসভায় নিশ্চিহ্ন হল বিজেপি।শুধু জেলার রামপুরহাট পুরসভার একটি আসনে জয়ী হয়ে বিরোধীদের শেষ সলতের চিহ্ন হিসাবে টিমটিম করে জ্বলছে সিপিআইএম।তাই পুরসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর পরোক্ষে সিপিআইএমের স্তুতি গাইলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “সিপিএম নরেন্দ্র মোদির বিজেপি দলের মত মিথ্যেবাদী নয়” তাই মানুষ বিজেপি নয় আবারও বমেদের সমর্থন করেছে।বামেরা ২০১৯ র লোকসভা নির্বাচনের পর নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি সাংগঠনিক ক্ষমতা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন অনুব্রত। তিনি বলেন, সংগঠন কি তা বিজেপি নেতারা জানেনই না। উনারা হেন করেগা তেন করেগা প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনটাই বাস্তবায়িত করতে পারে নি। তাই মানুষ পুরসভা নির্বাচনে ওদের প্রত্যাখান করেছে।
বীরভূমের সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া শ বোলপুর পুরসভায় এবার বিরোধীরা খাতাই খুলতে পারেনি।শুধুমাত্র রামপুরহাট পুরসভার একটি আসনে জয়লাভ করেছেন বামেরা। তৃণমূলের এই জয়কে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয় বলে দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল।তিনি বলেন, আমরা কেউ নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ও তাঁর ছবি দেখেই মানুষ ভোট দিয়েছেন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারা প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, সিপিআইএম, কংগ্রেস মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারল অথচ বিজেপিই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারল না কেন? আসলে ওদের সাংগঠনিকে কোনও ক্ষমতাই নেই।
পুরসভা নির্বাচনের দিনেই ২০২৩ সাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আগাম ভবিষ্যতবানী করছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ার তৃণমূলেরই জয় হবে। কোনো দলের মনোনয়ন জমা দিতে অসুবিধা হবে না।কোনও বিডিও অফিসে তৃণমূলের প্রার্থীরা ছাড়া কেউ যাবে না। তবু তৃণমূলেরই জয় হবে, দাবি অনুব্রত মণ্ডলের।
More Stories
জাপানে পৌঁছালো ভারতের প্রথম প্রতিনিধি দল
পুলিশি তলবের খাঁড়ার মধ্যেই বোর্ডের শো-কজ! অস্বস্তিতে কর্মহারারা
তৃণমূলের প্ররোচনায় হিংসা, নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ! মুর্শিদাবাদ নিয়ে রিপোর্ট আদালত গঠিত কমিটির