সময় কলকাতা ডেস্ক : বাড়ি ফেরার জন্য টানা ৬ দিন প্রায় না অভুক্ত অবস্থায় আতঙ্ক নিয়ে বিমানবন্দরে ঘুরেছেন। অবশেষে সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরতে পেরে কার্যত হাঁপছেড়ে বেঁচেছেন নদীয়ার শান্তিপুরের সমীর বিশ্বাস।গবারচর গ্রামের বাড়িতে ফিরে ইউক্রেনে কাটানো দিনগুলির ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন সমীর।তিনি জানান যুদ্ধ ঘোষণার কথা জানার পরেই আমরা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করি।বিমানবন্দরে গিয়ে টিকিট না পেয়ে নিজেদের উগ্যোগে গাড়ি ভাড়া করে পোল্যাণ্ড সীমান্তের দিকে রওনা হই। কিন্তু সীমান্তের ১৭ কিলোমিটার আগে আমাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। তারপর হেঁটে সীমান্তে পৌঁছাই। তারপরই সমস্যা শুরু হয়।
সমীরবাবু জানান, সীমান্তরক্ষী বাহিনী আমাদের আটকে দেয়। খাওয়ার জল কোনও কিছু ছাড়াই ওখানে আমাদের দু দিন কেটে যায়। তারপর খবর পাই পাশের একটি চেকপোস্ট থেকে সীমান্ত পারপার চলছে। ওই অবস্থাতেই আরও ২০ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে আমরা অন্য একটি জায়গায় পোঁছাই। সেখানেও একই অবস্থা। তারপর অভুক্ত অবস্থাতেই আরও ৪০ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়ার পর সীমান্ত পেরোতে পারি। তারপর আর সেভাবে সমস্যায় পড়তে হয়নি। আমি যে বাড়ি ফিরতে পারব তা একটা সময় ভাবতেই পারছিলাম না। অবশেষে বাড়ি ফিরতে পেরে যেন পুন:জন্ম ফিরে পেলাম।
শান্তিপুর থানার গবারচর তালতলা পাড়ার বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস। পেশায় তাঁত শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁতের কাজ বন্ধ থাকায় আর্থিক অনটনে ভুগছিল পরিবার। মাস ছয়েক আগে নিজের বাড়ির তাঁত বিক্রি করে, সুদে টাকা ধার নিয়ে প্রথমে দিল্লি যান। দিল্লিতে দু মাস কাটিয়ে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। উদ্দেশ্যে ছিল পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা। কিন্ত আচমকা সেই যুদ্ধ তাঁর সেই আশা কেড়ে নিল । তবে ঘরের ছেলে সুস্থভাবে বাড়ি ফেরায় খুশি সমীরের পরিবার। সমীর ঘরে ফিরেআসায় রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সমীরের পরিবার।
More Stories
সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাশ্মীরে গুলির লড়াই, খতম ২ জঙ্গি
জাপানে পৌঁছালো ভারতের প্রথম প্রতিনিধি দল
পুলিশি তলবের খাঁড়ার মধ্যেই বোর্ডের শো-কজ! অস্বস্তিতে কর্মহারারা