বিহারের ভাগলপুরের ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০

সময় কলকাতা ডেস্কঃ  বৃহস্পতিবার গভীর রাত, ঘুমে নিমগ্ন শহর, নিস্তব্ধ শহরের অলিগলি। আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে উঠল বিহারের ভাগলপুরের কাজওয়ালিচক। ভাগলপুরের কাজওয়ালিচক এর একটি বাড়িতে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ১০ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের চারটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে উঠেছিল বিস্ফোরণের তীব্রতায়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। সারারাত ধরে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার কার্য চালানোর পর সকাল নটার সময় এক শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছে ধ্বংসস্তূপের নিচে। বিস্ফোরণে ১১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের ভাগলপুরের মায়াগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।বেশ কিছুদিন ধরেই ভাগলপুর পুলিশকে সতর্ক করছিল আইবি। ভাগলপুর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষের সন্দেহজনক উপস্থিতির কথা জানিয়েছিল ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫ কেজি গান পাউডার এবং বিপুল পরিমাণ লোহার পেরেক। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আতশবাজি তৈরীর সময় ঘটে এই বিস্ফোরণ। এর আগেও ওই একই বাড়িতে ঘটেছিল বিস্ফোরণ। নিহতদের পরিবারের মূল ব্যবসা ছিল আতশবাজি তৈরীর। যদিও বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে পুলিশ মনে করছে আতশবাজির পাশাপাশি অন্য কোন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হতো কিনা বা অন্যকোন নাশকতামূলক কাজে বিস্ফোরক তৈরি করা হতো কিনা। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তদন্ত নেমে পড়েছে ভাগলপুর পুলিশ।কিছুদিন আগেই ভাগলপুর এর নাত নগর রেলস্টেশন এর দু’ নম্বর প্লাটফর্মে একটি ডিটোনেটর লাগানো বোমা উদ্ধার করা হয়েছিল।  সেই সময় নাথ নগর রেল স্টেশন এর কাছে রেল লাইনের পাশে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিল এক ব্যক্তি। এদিনের ঘটনার সঙ্গে পূর্বের ঘটনার কোনো সংযোগ আছে কিনা সে ব্যাপারেও তদন্ত করছে পুলিশ। নবীন মণ্ডল ও গনেশ মন্ডল-এর বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এদের সঙ্গে কোন সন্ত্রাসবাদীর যোগ আছে কিনা সে ব্যাপার ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ভাগলপুরের বাবরাবগঞ্জ হাবিবপুর, বুরারি, আসান্দপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই তল্লাশি তে নেমেছে প্রশাসন।

About Post Author

desk1

See author's posts