Home » উপাচার্যের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের

উপাচার্যের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের

সময় কলকাতা ডেস্ক : কবিগুরুর ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকা হল কেন, এই স্লোগান তুলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও কর্মসচিবের কুশপুত্তলিকা পোড়াল আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা৷ ৫ দিন ধরে ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে ছাত্র আন্দোলন চলছে বিশ্বভারতীতে৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন ডাকা হল, উপাচার্য ও কর্মসচিব জবাব দাও’। এই অভিযোগ তুলে এদিন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শান্তিনিকেতন রোডে মিছিল করে পড়ুয়ারা। পরে শান্তিনিকেতন রোড অবরোধ করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও কর্মসচিব আশিষ আগরওয়ালের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। ছাত্রদের আন্দোলনের উপরে নজর রাখতে এদিন আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়৷পড়ুয়াদের মধ্যে সোমনাথ সৌ ও শুভ নাথ বলেন, “কবিগুরুর ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে ঐতিহ্যকে কলুষিত করেছেন উপাচার্য। আমরা ধিক্কার জানাই৷ দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

বিশ্বভারতী খুললেও, খোলেনি ছাত্রাবাস ও ক্যান্টিন৷ দূর-দূরান্ত থেকে অধিকাংশ পড়ুয়া ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে। তাই ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে ৫ দিন ধরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলছে ছাত্র আন্দোলন৷ পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। আন্দোলন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় ও কোন আধিকারিক যাতে ঘেরাও না থাকে পুলিশকে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরেই শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে কর্মসচিব আশিষ আগরওয়াল সহ ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ ও সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতোকে দপ্তর থেকে বের করে।

যদিও এদিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, দ্রুত ছাত্রাবাস খোলা হয়৷ বিষয়টি দেখার জন্য কর্মসচিবের নেতৃত্বে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি গুরুত্ব বিবেচনা করে ছাত্রাবাস খুলবে।

 

About Post Author