সময় কলকাতা ডেস্ক, ১৬ জুলাইঃ সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল মামলা শুনানি ছিল। কিন্তু, এদিনও এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। তিন সপ্তাহ পর, মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) পক্ষ থেকে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য আলাদা আলাদা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এই সব পক্ষের বক্তব্য জানানোর জন্য সর্বোচ্চ আদালতের তরফে ‘নোডাল অ্যাডভোকেট’ ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই দুসপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নথিভুক্ত করে পেশ করবে সর্বোচ্চ আদালতে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, এই পাঁচ পক্ষ ছাড়া অন্য কোনও পক্ষ বক্তব্য জানাতে চাইলে, লিখিতভাবে সুপ্রিম তা জানাতে পারবে। তবে তা পাঁচ পাতার মধ্যেই রাখতে হবে। সে কারণেই এদিন ২৬ হাজার চাকরিহারাদের মামলার শুনানি সম্ভব হয়নি। এই ২৬ হাজার চাকরিহারার মধ্যে গ্রুপ ডি-র কর্মীরাও রয়েছেন।
আরও পড়ুন নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ৪০টি মামলা রাজ্যের বাইরে সরানোর আর্জি সিবিআইয়ের
প্রসঙ্গত, কলকাতা উচ্চ আদালত ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে। মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করে দিয়েছে আদালত। এরপরই নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সঙ্গে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদও।ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে ২০১৬ সালের প্যানেল অনুযায়ী ৫,২৪৩ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই মর্মে চিঠিও দিয়েছে সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের তালিকা হাতে পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু করতে হবে। সেইমতো কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ২ মাসের মধ্যে ৮০০ চাকরি প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় বৃহস্পতিবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। জানা গিয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগেই আটকে ছিল ওই প্রার্থীদের নিয়োগ। এ প্রসঙ্গে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, ‘ এর আগে অনেকেরই চাকরি বাতিল হয়েছে। খুবই কঠোর রায়। বাকি ১৯ হাজারের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? কোনও নতুন তথ্য প্রমাণ নেই। তারপরও কেন ১৯ হাজার বাতিল করা হচ্ছে? মেয়াদ উত্তীর্ণর ক্ষেত্রে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ নিয়ে যে তথ্য আমরা দিয়েছি কোর্টে, তাতে ১৮৫ ছিল র্যা ঙ্ক জাম্পিং ও তালিকা বহির্ভূত। তা হলফনামা দেওয়া আছে আদালতে। ৫ হাজার জনের সবার ব্যাপারে না হলেও বেশ কয়েকজনের ক্ষেত্রেই আমাদের সুপারিশপত্র বাতিল করার নির্দেশ এসেছিল। মাধ্যমিক বোর্ডও নিয়োগপত্র বাতিল করেছিল। তবে সেটায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল।এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিবিআইয়ের দীর্ঘ অনুসন্ধান চলেছে। প্রায় দেড় বছর। তারা কম বেশি ৫ হাজার জনের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। বলেছিল, ৫ হাজারের নিয়োগ আইনসঙ্গত ভাবে হয়নি। তবে নবম-দশম, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডিতে বেশ কিছু চাকরি বাতিল হয়।’
#SSCScam
#SupremeCourt
#SSCjobcancellationcase
#Latestbengalinews
More Stories
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনিভাবে মানুষ পাচারের বিরুদ্ধে, এফআইআর রজু করল পাঞ্জাব পুলিশ
অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল, ১৪ ই ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষক নেতাদের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা
UPSC-তে দেশে প্রথম স্থান অধিকার করল শিলিগুড়ির ছেলে জয়দীপ রায়