Home » Narendra Modi: ভারত চায় পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফিরুক, গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিকে একজোট হওয়ার বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

Narendra Modi: ভারত চায় পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফিরুক, গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিকে একজোট হওয়ার বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

সময় কলকাতা ডেস্ক, ২৩ অগস্টঃ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যে ভারত ইতিমধ্যেই তার অবস্থান পাকা করে নিয়েছে। পূর্ব ইউরোপের দেশ-সহ গ্লোবাল সাউথের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে এখন ভারত অনেকটাই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। পোল্যান্ডের সফর সেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন ইউক্রেনে।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মধ্যে ভারত এখন যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বৈদেশিক নীতি এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছে ভারতকে। অনেকাংশেই এই কৃতিত্বের অধিকারী ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । দীর্ঘ ৪৫ বছর পরে পোল্যান্ডের মাটিতে পা রাখল কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে নরেন্দ্র মোদির পোল্যান্ড সফর অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৫ এর জানুয়ারি মাসের সংঘটিত হতে চলা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতি হবে পোল্যান্ড। সেক্ষেত্রে পোল্যান্ডের হাত ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সখ্যতা আরও দৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে বৈঠকের পর মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের সঙ্গী হওয়ার জন্য সে দেশের বাণিজ্যিক মহলকে আহবান জানাই নরেন্দ্র মোদি।। পোল্যান্ডের সঙ্গে সামরিক অস্ত্র সংক্রান্ত বাণিজ্যের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। পোল্যান্ড সফর শেষে আরেকটি ঐতিহাসিক সফর করলেন নরেন্দ্র মোদি ।

শুক্রবার ইউক্রেনের কিয়েভে পৌছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে বেরিয়ে আসে ইউক্রেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে।। সে যুদ্ধের উত্তাপের আঁচ পৌঁছেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যেও। সেই যুদ্ধ আবহে ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখল কিয়েভে। চলতি বছরই রাশিয়া সফরে গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আর সেই বৈঠক  নিয়েই তীব্র আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জিলেনস্কি। এই দুই ভ্লাদিমিরের এর মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা ছিল ভারতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। রাশিয়া সফরের সময় নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন তিনি যাবেন ইউক্রেন সফরে। তাই পোল্যান্ড সফর শেষ করেই তিনি পা রাখেন ইউক্রেনে।

আরও পড়ুনঃ আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ শিয়ালদহ আদালতের

কিয়েভে পৌঁছেই শান্তির বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি । ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। ভারত ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে। একদিকে ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক। অন্যদিকে রাশিয়ার চিরশত্রু ইউক্রেনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে তোলা নরেন্দ্র মোদির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জ সুষ্ঠুভাবে রক্ষা করলেন মোদি। একদিকে ইউক্রেনে মাটিতে দাঁড়িয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সমন্বয়ের বার্তা এবং শান্তির বার্তা যেমন দিলেন নরেন্দ্র মোদি তেমনিই গ্লোবাল সাউথের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যেও খাদ্য ও শক্তি নিরাপত্তা এবং শান্তির বার্তাও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে চীন এবং পাকিস্তানকে কার্যত সরিয়ে রেখে গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজক দেশ হিসেবে ১২৩ টি দেশের ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মোদি।

চীন ও পাকিস্তানের শক্তিকে কার্যত অগ্রাহ্য করে ভারত গ্লোবাল সাউথের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে এটা প্রমাণ করেছে, যে আজ ভারত বিশ্বের মঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জায়গায় রয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে একথা অনস্বীকার্য। অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, বাণিজ্যিক ক্ষেত্র পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রেও ভারত আজ অনেকটাই আত্মনির্ভর। এই অগ্রগতি ধরে রেখে বিশ্বের উন্নত  দেশগুলোর তালিকায় ভারত তার অবস্থান কতটা উপরে নিয়ে যেতে পারে সেটাই এখন দেখার।

About Post Author