সময় কলকাতা ডেস্ক, ৩০ আগস্টঃ আরজি কি কর কাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুণ। নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ। কেউ প্রতিবাদের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন সমাজ মাধ্যমকে। কেউ আবার সরাসরি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যশালী হাসপাতালে তরুণী চিকিসৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে গান গেয়ে প্রতিবাদ করেছেন দেশের অন্যতম সেরা গায়ক অরিজিৎ সিং। সম্প্রতি তাঁর গাওয়া গান “আর কবে” ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তবে তাঁর গানে খুশি নয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সমাজ মাধ্যমে গায়ককে কটাক্ষে বিঁধলেন শাসক দলের প্রাক্তন সাংসদ ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ আরজিকর কাণ্ডে তিলোত্তমার ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় ‘বড় ভুল’, দাবি CBI-র
কিছুদিন আগে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিয়োর আরিজিৎকে বলতে শোনা গিয়েছিল “রাস্তায় নামার আগে আমাকে যা বোঝানোর বুঝিয়ে দিন, রাস্তায় নেমে গেলে আর কিচ্ছু শুনবো না”। তবে বর্তমানে রাস্তায় নামার বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন এখনই রাস্তায় নামতে চাইছেন না তিনি। বাড়িতে থেকেই গানের ভাষায় প্রতিবাদে অংশ নিতে চেয়ে গাইয়ের লেখা গানের প্রশংসা করেছেন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো। তিলোত্তমার ন্যায় বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করছি। তবে সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না অথবা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দি জগৎ, কাজ, টাকা, কেরিয়ার তাই চুপ?”
এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল ঘোষ। একা অরিজিৎ নন, একের পর টুইট করে বিঁধেছেন বাংলার একাধিক তারকাকে। টলিপাড়ার বেশ কিছু শিল্পীকে সুবিধাবাদী বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। তৃণমূল নেতার কথায় নিজের দরকারে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার ভান করেন। আর তৃণমূলের খারাপ সময়ে গা ঢাকা দেন। মমতা ব্যানার্জির পাশে থাকা তো দূর, খুঁজেও পাওয়া যায় না তাঁদের একাংশকে।
More Stories
পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
আরজিকর-সহ রাজ্যের সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা মমতার
জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়