সময় কলকাতা ডেস্ক, ১৮ নভেম্বর : তখন স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিযুগ। সময়টা ১৯২৯ সাল। দিল্লির কেন্দ্রীয় আইনসভা কক্ষে বিপ্লবী ভগৎ সিংহের সঙ্গে একযোগে ১৯ বছরের তরুণ বোমা ফেলে “ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিলেন। তাঁদের আদর্শ এবং পথের জানান দিয়ে লিফলেট ছড়ালেন। অবশেষে স্বেচ্ছায় ধরা দিলেন। সেদিনের তরুণ বটুকেশ্বর দত্ত ভারতীয় অগ্নিযুগের এক স্মরণীয় চরিত্র। ১৮ নভেম্বর তাঁর জন্মদিন। আজ থেকে ১১৪ বছর আগে বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানার একটি ছোট গ্রাম ওঁয়াড়িতে জন্মেছিলেন বটুকেশ্বর দত্ত ।
আরও পড়ুন বীর শহীদ তিতুমীরের অজানা ইতিহাস
লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁর বিচার শুরু হয়। এই মামলায় ভগত সিং , রাজগুরু ও শুকদেবের ফাঁসি হলেও বয়স কম হওয়ার জন্য ফাঁসি হয়নি তাঁর। তাঁকে কারাবাসে আন্দামান সেলুলার জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন ১৩ জুলাই, ১৯২৯: লাহোর সেন্ট্রাল জেলে যতীন দাস শুরু করেছিলেন ৬৩ দিনের অনশন
ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার পরে খুব ভালো ছিলেন না এই স্বাধীনতা সংগ্রামী। পাটনায় থাকতেন বটুকেশ্বর দত্ত,বিয়েও করেছিলেন। বিধান পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ জীবনটা তাঁর সুখের ছিল না। কর্কট রোগে মৃত্যুর আগে নিদারুণ দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন বটুকেশ্বর দত্ত। সেভাবে সম্মানও জোটে নি তাঁর। ১৯৬৫ সালে প্রয়াত হন তিনি। কার জন্মদিনের সময় কলকাতার পক্ষে একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য।।
More Stories
বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে দেওয়া হল বিখ্যাত কোম্পানি বাটা। নেপথ্যে কী?
প্রাথমিক স্কুলের পাশেই পরিত্যক্ত ও আগাছায় ভরা কুয়ো! ভয়ে একা বেরোয় না শিশুরা
স্বামী বিবেকানন্দের মা বীর জননী আখ্যা পেয়েছিলেন, কিন্তু কার জন্য? জানেন কি?