সময় কলকাতা ডেস্ক, ১৯ ডিসেম্বর : নিঃসন্দেহে মারণ রোগের অন্যতম কালাজ্বর। ভিসেরাল লিসম্যানিয়াসিস বললে রোগটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্র ছাড়া বুঝবে কে? দমদম ফিভার, সাহিবস ডিজিজ কত নামই না ছিল রোগটির। তবে সবচেয়ে প্রচলিত নাম ব্ল্যাক ফিভার বা কালা জ্বর। পরজীবী ঘটিত রোগটিতে বারংবার জ্বরের সঙ্গে ক্ষুধামান্দ্য, ওজন হ্রাস , যকৃত ও প্লীহা ফুলে যাওয়ার মত লক্ষণ রয়েছে।এই কালাজ্বরে এখনো বিশ্বে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মারা যান। তবে সময় মত চিকিৎসা করালে এই রোগ থেকে উপশম সম্ভব। আর এই মারুন ব্যাধি থেকে উপশমের রাস্তা দেখিয়েছিলেন স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী। আজ থেকে ১০২ বছর আগে এই বাঙালি চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী কালাজ্বরের ওষুধ হিসেবে ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কার করেন যা কালাজ্বরের ভীতিকে অনেকটাই দূর করে। এত বড় আবিষ্কারের পরেও তিনি থেকে গিয়েছেন প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে। বর্তমান প্রজন্মের কজনই বা তাঁর নাম জানে?
১৮৭৩ সালে বর্তমান সময়ের পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে জন্ম উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর। তার পিতা ও ছিলেন চিকিৎসক। তাঁর চিকিৎসা বিদ্যা অধ্যয়ন কলকাতা মেডিকেল কলেজে। গণিত ছিল তার প্রিয় বিষয়। তবুও রসায়ন নিয়েও তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। স্যার আলেকজান্ডার টেগুলার এবং আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় তাঁকে শিখিয়েছিলেন চিকিৎসা বিদ্যা। কৃতী ছাত্র উপেন্দ্রনাথ ব্যবহারিক জীবনেও ছিলেন সফল। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যাম্পবেল মেডিকেল কলেজে তিনি যোগদান করেন। সেদিনের ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুল আজ নীলরতন সরকার হাসপাতাল নামে পরিচিত। কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি অবসর নেন। ১৯২২ সালে তিনি রীতিমত বৈপ্লবিক অভ্যুত্থান আনেন চিকিৎসা জগতে। কার্বোস্টিবামাইড বা ইউরিয়া স্টিবামাইন তাঁরই অবদান। কালাজ্বরের প্রতিরোধে যুগান্তকারী আবিষ্কারের দুই যুগ পরে তিনি প্রয়াত হন।
উল্লেখ্য,আজ থেকে ১৫১ বছর আগে জন্ম হয়েছিল উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর । ১৯ ডিসেম্বর দিনটি তাঁর জন্মদিন।।
কালাজ্বরের ওষুধ ও উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী
More Stories
বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে দেওয়া হল বিখ্যাত কোম্পানি বাটা। নেপথ্যে কী?
প্রাথমিক স্কুলের পাশেই পরিত্যক্ত ও আগাছায় ভরা কুয়ো! ভয়ে একা বেরোয় না শিশুরা
১০৫ বছর বয়স! চিকিৎসকের বুকে বসল পেসমেকার