Home » ফের অসুস্থ পার্থ, চলছে অক্সিজেন সাপোর্ট। চার্জশিট থেকে নাম বাদ জামাইয়ের

ফের অসুস্থ পার্থ, চলছে অক্সিজেন সাপোর্ট। চার্জশিট থেকে নাম বাদ জামাইয়ের

সময় কলকাতা ডেস্ক:- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এর কারণে এবার তাঁর নাম ইডি অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ গেল। আগে চার্জশিটে নাম ছিল কল্যাণময় ভট্টাচার্যের।

অন্য দিকে

কল্যাণময়ের রাজসাক্ষী হওয়া, চার্জশিট থেকে নাম বাদ যাওয়া যথেষ্ট চিন্তা বাড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই সম্ভবত তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বার বার। এদিকে কল্যাণময় এর নাম বাদ দেওয়ায় পার্থর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামীর প্রতিক্রিয়া, ‘রাজসাক্ষী হলে তাঁর নাম অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন তর্ক-বির্তক আছে। তবে এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি মামলায় যে তিনটি কোম্পানি অভিযুক্ত, সেগুলির ডিরেক্টর কল্যাণময় ভট্টাচার্যই। তা হলে কী ভাবে ডিরেক্টরের নাম অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো, তা স্পষ্ট নয়।’ ইডি সূত্রের দাবি, অভিযোগ প্রমাণ হলে দায় বর্তাবে কোম্পানির উপরেই।

সিবিআইয়ের অভিযোগ

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের অভিযোগ, পার্থ মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর যিনি ওএসডি ছিলেন সেই প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বয়ানে দাবি করেছেন, ৭৫২ জন প্রার্থীর সঙ্গে আরও ১৫ জন প্রার্থীর নাম দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে ওই ১৫ জনের নাম বলতে বলেছিলেন পার্থই। এই বিষয়ে পার্থর আইনজীবীর বক্তব্য, শুধু একজনের স্টেটমেন্টে এই ১৫ জন ক্যান্ডিডেটের উল্লেখ রয়েছে। কোনও নথি নেই। নিয়োগ কমিটিতে কোনও অ্যাপ্রুভাল পার্থ দিয়েছেন, এ রকম নথিও নেই। বিকাশভবন থেকে কিছু নথি মিলেছিল। যেখানে নাকি ক্যান্ডিডেটদের নাম ছিল। যা কিনা পার্থর হাতের লেখা বলে অভিযোগ ছিল, আদতে সেই নথি হাতে লেখা নয়, টাইপ করা। আদালত এ বিষয়ে ২৭ মার্চ পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছে।

শনিবারও পার্থর জামিনের জন্যে তাঁর আইনজীবী সওয়াল করেন। তাঁর বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি পার্থকে গ্রেপ্তার করেছিল প্রায় তিন বছর আগে, ২০২২–এর ২২ জুলাই। এর পর ২০২৪–এর ৩০ সেপ্টেম্বর সিবিআই শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে গত বছর ১ অক্টোবর আদালতে পেশ করা হয়। আবার ৪ অক্টোবর সিবিআই জেলে গিয়ে পার্থকে জেরার জন্যে আদালতে আবেদন করে। জেলে জেরা শেষ হয় ১৫ অক্টোবর। বার কয়েক তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করা হয়েছে। তার পর আর কখনও জেরাও করা হয়নি। তিনি তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন বলেও অভিযোগ নেই। তিনি অসুস্থ। এই অবস্থায় তাঁকে জামিন দেওয়া হোক বলে আবেদন করেন আইনজীবী।

জেল সূত্রে খবর, পার্থ ফের অসুস্থ। তিনি জেলে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। জামাই কল্যাণময়ের রাজসাক্ষী হওয়া এবং তার পর পরই পার্থর ফের অসুস্থ হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

About Post Author