সময় কলকাতা ডেস্ক:- পরিত্যক্ত ও আগাছায় ভরা একটা কুয়ো। ঘণ অন্ধকারে নিচ পর্যন্ত দেখাই যায় না। কাছে গেলেই ভয়ে ছমছম করে উঠে মন। এটিই এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে গ্রামবাসীর। পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। সেখানে ছেলেমেয়েদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা।
এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা নিজেদের বাড়ির সব আবর্জনা, ভাঙাচোরা জিনিসপত্র কুয়োতে ফেলছেন যাতে এটি বুজে যায়। কিন্তু গভীরতা এতই বেশি যে তা কত দিনে বুজবে, সেটার ঠিক নেই। কোতুয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমাসরাই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ধরমবীর পাসোয়ান বলেন, ‘গ্রামবাসীদের বক্তব্য সঠিক। পঞ্চায়েতের জমিতেই পরিত্যক্ত অবস্থায় কুয়োটি রয়েছে। এখন বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। ফলে এই কুয়োর আর কোনও প্রয়োজন নেই।
পরিত্যক্ত এই কুয়োর পাশ দিয়ে শিশুদের যেতে হয় নিমাসরাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিভাবকেরা শিশুদের নিয়ে স্কুলে যান, একা ছাড়েন না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ‘কুয়োর পাশে একটি রাস্তা রয়েছে। রাতের অন্ধকারে সেখানে বাতি জ্বলে না। ফলে আমাদের অনেক সতর্ক হয়ে চলাচল করতে হয়। শিশুদের একা বাড়ি থেকে ছাড়ার সাহস দেখাতে পারি না।’ এই পরিত্যক্ত কুয়োর জন্য শিশুদের নজরছাড়া করতে পারেন না অভিভাবকেরা। গ্রামবাসীরা চাইছেন, অতি দ্রুত পরিত্যক্ত গভীর কুয়োটি বন্ধ করে দেওয়া হোক। অভিযোগ, পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হলেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি। বিষয়টি বহুবার পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েছন গ্রামবাসীরা। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ ঘোষ এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীর অভিযোগের কথা জানি। দ্রুত কুয়ো বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
More Stories
মুর্শিদাবাদে কত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত?দ্রুত সমীক্ষার কাজ শেষ করার নির্দেশ মুখ্য সচিবের
রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর খোলা চিঠি
ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে নতুন পালক! খুলে গেল পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান