সময় কলকাতা ডেস্ক:- ঢোলাহাট বিস্ফোরণ কাণ্ডে স্থানীয়দের অভিযোগ সত্যি বলেই প্রমাণিত হলো সরকারি রিপোর্টে। অবৈধভাবেই চলছিল বণিক পরিবারের বাজি কারখানা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটে বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরকারি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল লাইসেন্স। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বণিকদের বাজি কারখানার লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তার পর ফের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেও আর তা ইস্যু করা হয়নি। নবান্নে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিলেন জেলাশাসক।
ঢোলাহাটে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণের আট জনের মৃত্যুর পর ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল নবান্ন। সেই রিপোর্টে লাইসেন্সের বিষয়টি সামনে আসতেই ফের স্পষ্ট নজরদারির অভাব। চম্পাহাটি, নৈহাটি, কল্যাণী, দত্তপুকুরের ঘটনার পরও এখনও যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে ওঠেনি তা স্পষ্ট। মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার ও ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ আকাশ মাগারিয়া। সেখানেও ঢোলাহাটের ঘটনাকে স্পষ্ট নজরদারি ও সচেতনতার অভাবে বলে জানান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। বুধবার এই ঘটনায় বাজি কারখানার অন্যতম মালিক চন্দ্রকান্ত বণিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক আর এক অভিযুক্ত তুষার বণিক।
ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে এমন বাজি কারখানার কী ভাবে অবৈধভাবে দিনের পর দিন চলল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাজি কারখানা নিয়ে টাকার বিনিময়ে চোখ বন্ধ করে থাকত স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০২২ সালে চন্দ্রকান্ত বণিক গ্রেপ্তার হন। সে বার বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৬৮.৫ কেজি বাজি। এর পরই ২০২৩-এ বাতিল হয়ে যায় লাইসেন্স। ফের লাইসেন্সের আবেদন করলেও পুলিশ কেস থাকায় দ্বিতীয়বার আর অনুমতি মেলেনি। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বাজি ব্যবসায় ভাটা পড়েনি। একইভাবে চলছিল বাজি বানিয়ে বিক্রি। প্রশাসনের নাকের ডগায় কী ভাবে দিনের পর দিন চলছিল এমন বেআইনি ব্যবসা? প্রশ্ন এলাকাবাসীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, সমস্তটাই জানে পুলিশ থেকে বিধায়ক। উল্লেখ্য, বিধায়ক সমীর জানার বাড়ি থেকে ১০ মিনিট দূরত্বেই ঢোলাহাটের এই বাজি কারখানা। সে ক্ষেত্রে বিধায়ক কিছুই জানতো না এটা হতে পারে না।
More Stories
মুর্শিদাবাদে কত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত?দ্রুত সমীক্ষার কাজ শেষ করার নির্দেশ মুখ্য সচিবের
রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর খোলা চিঠি
ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে নতুন পালক! খুলে গেল পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান