Home » সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর। শীর্ষ আদালতের এই রায় মানতে পারছেন না বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর। শীর্ষ আদালতের এই রায় মানতে পারছেন না বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সময় কলকাতা ডেস্ক:- এসএসসির নিয়োগ দূর্নীতি নিয়ে মামলা চলেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তখন গোটা ২৬ হাজারের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যায় রাজ্য। তবে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টও বাতিল করে দিল এসএসসির ২০১৬ সালের ২৬ হাজারের প্যানেল। অযোগ্যদের ফেরত দিতে হবে বেতনও, বলা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। সেই খবরেই রাজ্যের স্কুল ও ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠক শেষ করেই আদালতকে সম্মান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, শীর্ষ আদালতের এই রায় মানতে পারছেন না।

রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান আশ্বাস দিয়ে জানান, তিনমাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে। পাশাপাশি জানান, যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের কোনও টাকা ফেরৎ দিতে হবে না!

উল্লেখ্য, এসএসসির বিষয়টি ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। দুপুরে এব্যাপারে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক থেকে সিপিএমের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন চৌধুরীকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী।

কটাক্ষের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সবাই তো আর অযোগ্য নয়। দু’চারজনের জন্য এতগুলো চাকরি বাতিল করা হল। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের জন্য তো এটা হল। ওনাকে নোবেল দেওয়া উচিত। এসএসসি কাণ্ডে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কেও।”

এরপরই সিপিএম-বিজেপিকে এক বন্ধনীতে রেখে আক্রমণের সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “স্কুলগুলোর কী হবে? বাংলাকে আর কত টার্গেট করবে?” খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন, “ওরা এসব করে বাংলার শিক্ষার মান নামিয়ে দিতে চাইছে না তো!”

সম্প্রতি একজন বিচারপতির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ওই বিচারপতিকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিচারপতিকে যদি বদলি করা হয়, তাহলে এক্ষেত্রেও শিক্ষকদের চাকরি না খেয়ে বদলি করা যেত।

মমতা বললেন,”সম্প্রতি একজন বিচারপতির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ওই বিচারপতিকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিচারপতিকে যদি বদলি করা হয়, তাহলে এক্ষেত্রেও শিক্ষকদের চাকরি না খেয়ে বদলি করা যেত।”

চাকরি হারাদের উদ্দেশে মমতা এও বলেন,”নিশ্চয়ই সমস্যার সমাধান হবে।” মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন,”চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যদি বিজেপি তাঁকেগ্রেফতারও করে তাহলেও রাজি আছেন।”

 

About Post Author