Home » ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার, ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই নতুন আতঙ্ক

ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার, ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই নতুন আতঙ্ক

সময় কলকাতা ডেস্ক:- ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার। রবিবার সকালে মধ্য মায়ানমারের মেইকটিলা নামের ছোট শহরের কাছেই ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৫। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিরারে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় থেকে ৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণে মেইকটিলা এবং উন্ডউইন শহরের কাছে মাটি থেকে ৭.৭ কিলোমিটার গভীরে।

২৮ মার্চের ৭.৭ মাত্রা ভূমিকম্পের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয় মায়ানমারের রাজধানী ন্যপিদ, মান্দালয়ের মতো শহরের। ঘরবাড়ি, ব্রিজ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি প্রচুর মানুষ প্রাণ হারান এই বিপর্যয়ের জেরে। মায়ানমারের মিলিটারি পরিচালিত সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৯ জনের। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮ জন। তবে মৃত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। রাষ্ট্রপুঞ্জ গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের জেরে মানবাধিকার ক্রাইসিস আরও বাড়তে পারে মায়ানমারে। গৃহযুদ্ধের জেরে ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই ঘরছাড়া। ভূমিকম্প সেই সংখ্যা নিশ্চিতভাবে বাড়াবে। তার মধ্যেই এই ভূমিকম্পের জেরে নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশে।

রবিবার এই ভূমিকম্পের জেরে কোন কোন জায়গায় কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে সেখানকার বাসিন্দারা তীব্র কম্পন অনুভব করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়ে মধ্য মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মেইকটিলা শহরের কাছেই অবস্থিত উন্ডউইন শহরের কয়েক জন বাসিন্দা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা-কে জানিয়েছেন, ভূকম্পন অনুভূত হতেই বাড়ি, দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। আতঙ্কে রীতিমতো ছোটাছুটি শুরু করে দেন কেউ কেউ। ওই শহরে কয়েকটি বাড়ি হেলে পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু মিলিটারি পরিচালিত সরকারের উপর তথ্য গোপনের জন্য ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

২৮ মার্চের পর থেকে একাধিক বার কম্পন অনুভূত হয়েছে মায়ানমারের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু এগুলির মধ্যে রবিবারের এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে সবথেকে বেশি।

About Post Author