সময় কলকাতা ডেস্ক:- ১৬৯ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার, চা উৎপাদনে নয়া রেকর্ড করল দার্জিলিং । কিন্তু রেকর্ড ছুঁয়েছে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নয় ঘাটতিতে। ২০২৪-এ দার্জিলিংয়ে চা উৎপাদন হয়েছে ৫.৬ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ৬০ হাজার কেজি।
টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এত কম পরিমাণ চা উৎপাদনের নজির নেই, দার্জিলিংয়ে চা উৎপাদনের ইতিহাসে। এর থেকে কম চা উৎপাদনের একটি ব্যতিক্রমী নজির অবশ্য আছে। ২০১৭ সালে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে টানা ১৭৪দিন বাগান বন্ধ ছিল। শ্রমিকরা বাগানে যেতেন না। কর্তৃপক্ষ অফিস বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন। সেবারও ৩০ লাখ ২১ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। ২০২৪-এ সারা বছর ধরে দার্জিলিংয়ে চা উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৫.৬ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ৬০ হাজার কেজি।
দার্জিলিং অ্যাসোসিয়েশনর দাবি, বাগান খোলা থাকলেও নানা দাবি দাওয়ার কারণে শ্রমিকেরা অনেকেই নিয়মিত বাগানে আসেননি। তার উপর চা গাছ পরিচর্যার আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে। বিশেষ করে নতুন করে চারা রোপন সম্ভব হয়নি। পুরনো গাছ পুনস্থাপনের খরচও মাত্রা ছাড়া। উৎপাদন নজিরবিহীন হ্রাস পাওয়ার আরও একটি কারণ ১২টি চা বাগান বিগত কয়েক বছর ধরে বন্ধ। সে বাগানগুলি আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডিটিএ আরও জানিয়েছে, নতুন অস্থায়ী মালিকেরা অনেকেই বাগানের পরিচর্যায় পর্যাপ্ত খরচ করছেন না। যার একটি বড় প্রভাব পরেছে চা উৎপাদনে।
ইন্ডিয়ান টি প্লান্টের এসোসিয়েনের দাবি, বছরের পর বছর চায়ের উৎপাদন কমছে। এর পিছনে অনেক কারণ জানিয়েছেন, চা মালিক সংগঠনটি, তাঁদের মতে, শ্রমিকদের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিয়েছে গোটা চা বলয়ে। বছরে ২৫ থেকে ৩০ বার চা পাতা তোলা হয় গাছ থেকে। কিন্তু দক্ষ শ্রমিকের অভাবে এখন তা কমে হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বার। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে দার্জিলিংয়ে চা উৎপাদন হয়েছিল ৬০ লাখ কেজির একটু বেশী। গত শতকের ছয় এবং সাত দশকে দার্জিলিংয়ে উৎপাদন হত এক কোটি চার লাখ কেজি চা।
More Stories
মুর্শিদাবাদে কত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত?দ্রুত সমীক্ষার কাজ শেষ করার নির্দেশ মুখ্য সচিবের
রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর খোলা চিঠি
ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে নতুন পালক! খুলে গেল পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান