Home » প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে বাইক, যাচ্ছে কোথায়? কী করে উদ্ধার হল উদ্ধার দশটি বাইক?

প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে বাইক, যাচ্ছে কোথায়? কী করে উদ্ধার হল উদ্ধার দশটি বাইক?

সময় কলকাতা ডেস্ক : প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে বাইক, যাচ্ছে কোথায়? আর এনিয়ে ‘সময় কলকাতা’ র অন্তর্তদন্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যে সীমান্ত এলাকা বসিরহাট থেকে সুনির্দিষ্টভাবে খোঁজ মিলেছে বাইক পাচার চক্রের। নড়েচড়ে বসা বসিহাট জেলা পুলিশ বহু প্রতিক্ষীত অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে চুরি হয়ে যাওয়া ১০ টি বাইক উদ্ধার করেছে।গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাইক চোরাই চক্রের দুই চাঁইকে।পুলিশের হাতে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

উল্লেখ্য, রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকার মতই উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট, মিনাখা, হাড়োয়া,সন্দেশখালি সহ একাধিক থানা এলাকায় গত ছয় মাস ধরে বহু বাইক চুরি বা ছিনতাই হচ্ছিল। পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে অথবা সিসিটিভি আড়াল করে এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জনবহুল এলাকা থেকেও বাইক চুরি-ছিনতাই করছিল বেপরোয়া দুষ্কৃতীরা ।

ফলশ্রুতি,দীর্ঘদিন ধরেই বাইক চুরির অভিযোগ জমা পড়ছিল পুলিশের কাছে। পুলিশের সে অর্থে হেলদোল ছিল না। অবশেষে পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম ব্যানার্জি, মিনাখা এসডিপিও নির্মল কুমার দাস, হাড়োয়া সিআই তপন আগুয়ান, মিনাখা থানার ওসি সিদ্ধার্থ মন্ডলের নেতৃত্বে গত দুদিনে বসিরহাট মহাকুমার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে দশটি চোরাই বাইক উদ্ধার করে পুলিশ।


পুলিশ জানিয়েছে মাদকদ্রব্য সহ কুখ্যাত কয়েকজন সমাজবিরোধীকে ধরপাকড় করে তাদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ, উদ্ধার হয় দশটি চোরাই মোটরবাইক। এরা বসিরহাট মহাকুমার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে বাইক সরিয়ে ফেলত।পুলিশ সূত্রের খবর, বাইক পাচারকারীরা একদিকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল যদিও দীর্ঘদিন ধরেই বাইকের  যন্ত্রাংশ চোরাই ভাবে বিক্রি করার কাজে দুষ্কৃতীরা যুক্ত ছিল।পুলিশ সাময়িক সাফল্য পেলেও বাইক পাচারের চক্রের সক্রিয়তা সেভাবে কমে নি। সমস্যা যে অনেক গভীরে শিকড় ছড়িয়েছে তা ‘সময় কলকাতার ‘ পরবর্তী অন্তর্তদন্তমূলক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হবে। সামনে আসতে চলেছে আরও অজানা রোমাঞ্চকর তথ্য।।

 

About Post Author