সময় কলকাতা ডেস্ক: মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের চিকিৎসা করাতে সর্বস্বান্ত পরিবার।তাতেও ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারেন নি।কার্যত নিরুপায় হয়ে ছেলেকে প্রায় ১ বছর ধরে হাতে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুল্পি ব্লকের বড়জামতলার এক দিনমজুর পরিবার। তবে ছোটোবেলা থেকেই এমনটা ছিলেন না বছর ২৬ বয়সের ওই যুবক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের সরস্বতী পুজোর রাতে হঠাৎই ঘুমন্ত অবস্থায় চিৎকার শুরু করে। তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারায়।তারপর দিনমজুর পরিবারটি তাঁদের ছেলের চিকিৎসার জন্য বহু চেষ্টা করেন। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমি দোকান বেচে দিয়ে দিয়েছে পরিবারটি।
বড়জামতলার ওই পরিবারে দোলুই দম্পতির একমাত্র ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে।মোটামুটিভাবে তাঁদের সংসার চলে যাচ্ছিল। কিন্তু ছেলে আচমকা মানসিক ভারসাম্য হারানোর পর পরিবারে নেমে আসে অন্ধকারের ছায়া।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক ছোট থেকে লেখাপড়ায় ভালো ছিল ।সংসারের হাল ধরতে ক্লাস এইটের পর স্কুল ছেড়ে নলকূপ বসানোর কাজে যায়।তারপর ২০১৪ সাল থেকেই সে ক্রমশ ক্ষেপে ওঠে। বিয়েও হয়েছিল ওই যুবকের ।যুবকের প্রতিবেশীরা জানান, শিকল খোলা থাকলে মাঝে মধ্যে হঠাৎই যার তার উপর প্রাণঘাতী হামলা করে ওই যুবক।
ছেলেকে এভাবে বেঁধে রাখতে চান না দোলুই দম্পতি। কিন্তু উপায় নেই, তাই প্রশাসন, স্বাস্থ্য দপ্তর বা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যেভাবেই হোক তাঁদের ছেলেকে সুস্থ করে ফিরিয়ে দিক কাতর আবেদন যুবকের পরিবারের। সেই আশাতে বুক বাঁধছে ভারসাম্যহীন পরিবার।
More Stories
“ধর্মঘট তাই ডাক্তার নেই ” – কলকাতার একাধিক নামি সরকারি হাসপাতাল ঘুরে নার্সিংহোমে মৃত্যু যুবকের
Sukanya Mondal: ১৫ মাস পর তিহাড় জেল থেকে মুক্তি কেষ্ট কন্যার, জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট
RG Kar Protest Kumortuli: ‘আমার দুর্গা’-র বিচারের দাবিতে রাজপথে কুমারটুলির মৃৎশিল্পীরা, কতটা পথ পেরোলে বিচার পাওয়া যাবে, জানতে চান হাতে টানা রিক্সাচালকেরা