সময় কলকাতা ডেস্কঃ স্বার্থসিদ্ধির জন্য ছেলেকে খুন করেছে সৎ বাবা। বাঁকড়ার নিখোঁজ শিশুর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আেস পুলনসের হাতে। প্রাথমিক তথ্য হাতে আসার পর সৎ বাবা উমেশ দ্বিবেদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ধৃতকে হাওড়া আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বছর ছয়েক আগে টিকিয়াপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকড়ার নিউ মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা আমিনা বেগমের । প্রথম পক্ষেরই সন্তান সাহিল । কিন্তু বছর তিনেক আগে ওই যুবকের সঙ্গে আমিনার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় । সন্তানের দায়ভার বহন করার প্রয়োজনীয় অর্থ রোজগারের জন্য এরপর আমিনা পাড়ি দেয় মুম্বাইয়ে । সেখানেই একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করার সময় আমিনার পরিচয় হয় বিহারের বাসিন্দা উমেশ দ্বিবেদীর সঙ্গে । ধীরে ধীরে তার সঙ্গেই প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আমিনা বেগমের । পরবর্তীকালে একই সঙ্গে তারা ফিরে আসে হাওড়ায় । টিকিয়াপাড়ায় বেশ কিছুদিন থাকার পর তারা বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলে যায় বাঁকড়া এলাকায় ।
মা আমিনা গত পরশু দিল্লির একটি খেলনা কারখানায় কাজ করতে চলে যাওয়ার পর উমেষ শিশুটিকে তার মামার বাড়ি দিয়ে যায় । পরে সেখান থেকেই অপহরণ করে খুন করে তাকে । এর পর টিকিয়াপাড়ায় ভূগর্ভস্থ পার্কিংয়ের জমা জলে ফেলে আসে । এদিকে, সন্দেহের তীর যাতে তার দিকে না যায় সেজন্য নিখোঁজ পোস্টার তৈরি করে এলাকায় বিলি করা শুরু করে অভিযুক্ত নিজেই । নিখোঁজ ডায়েরি করতে চলে যায় ডোমজুড় থানায় । কিন্তু সেখানেই তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন পুলিশ আধিকারিকরা । এরপর তদন্তের জন্য তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয় । পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে সে তার অপরাধ স্বীকারও করে নেয় ।
More Stories
ফের অসুস্থ জেলবন্দি পার্থ, আচমকা শুরু বুকে ব্যথা, খবর গেল এসএসকেএমে
রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কায় ফাঁসিদেওয়ায় জখম চিতাবাঘ! আহত চিতাবাঘটি চিকিৎসাধীন
আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না মৈপীঠবাসীর! নদীর পাড়ে ফের বাঘের পায়ের ছাপ