Home » ড্রাগন চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

ড্রাগন চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

সময় কলকাতা ডেস্ক: গতানুগতিক ধান ও সবজি চাষ করে ফসল তোলার পর পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় ক্রমশ লাভের পরিমান কমছে চাষিদের। তাই বিকল্প চাষের দিকে ক্রমশ ঝুঁকছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার চাষিরা। বিকল্প চাষের মাধ্যমে আয় বাড়াতে রাজ্যের একাধিক জেলায় চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মেক্সিকান ড্রাগন ফলের চাষ। ড্রাগন ফলের চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।

বালি মাটিতে এই চাষ ভালো হয়। চারটি গাছের মাঝখানে একটি করে লোহার বা ঢালাই খুঁটি বসাতে হয়। আর খুঁটির মাথায় লোহার রিং বা সাইকেলের চাকার রিং লাগানো হয়। গাছগুলি খুঁটি দিয়ে উপরে উঠে রিংয়ের চারপাশে ঝুলতে থাকে। সেখানেই ফুল ও ফল হয়। তিন বছর পর গাছগুলি গড়ে ১৫-২০ কেজি ফল দিতে পারে। আর পাঁচ বছর পর গাছের ফল ধারণের ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়।

 

সাধারণ চাষে লাভ কম হওয়ায় অনেক চাষিই ড্রাগন ফল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কৃষিদপ্তরের পক্ষ থেকেও বিকল্প চাষ হিসেবে চাষিদের ড্রাগন ফল চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। খাদ্যগুণ থাকায় বাজারে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই চাষের প্রাথমিক খরচ বেশি হলেও একবার গাছ বসালে টানা ২০-২৫বছর ফল দেয়। পরিচর্যার খরচও যথেষ্ট কম। চাষ শুরু করার দু’বছর পর থেকেই ফল পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে চাষ করে বছরে এক লক্ষ টাকার বেশি লাভ করা সম্ভব।ড্রাগন ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা না থাকায় প্রথম দিকে ফল বিক্রির জন্য কলকাতায় নিয়ে যেতে হতো। এখন স্থানীয় বাজারেও চাহিদা তৈরি হওয়ায় এখানেই সমস্ত ফল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ড্রাগন ফলের বর্তমান পাইকারি বাজার মূল্য কেজি প্রতি ২০০টাকা। তাই এই চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।চাষিদের আগ্রহ ও লাভ ভালো হওয়ায় জেলায় জেলায় কৃষি দপ্তরও চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে।নতুন চাষিদের জন্য চারাগাছ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করছে কৃষি দপ্তর।

About Post Author