Home » মর্তলোকের ২১ বছর আর অষ্টাদশীর রোম্যান্টিকতাকে অলবিদা জানিয়ে সুরলোকে পাড়ি ডিস্কো কিং-এর

মর্তলোকের ২১ বছর আর অষ্টাদশীর রোম্যান্টিকতাকে অলবিদা জানিয়ে সুরলোকে পাড়ি ডিস্কো কিং-এর

সময় কলকাতা ডেস্কঃ চলতে চলতে মেরে ইয়ে গীত ইঁয়াদ রাখনা, কভি অলবিদা না কহনা। শেষ পর্যন্ত মর্তলোকের ২১ বছর আর অষ্টাদশীর রোম্যান্টিকতাকে  অলবিদা জানিয়ে  সুরলোকে পাড়ি জমালেন ডিস্কো কিং।  তাঁর আসল নাম ছিল অলকেশ লাহিড়ী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ মুম্বইয়ের একটি বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷মুম্বইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালের ডিরেক্টর ড. দীপক নমযোশী জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ সংগীত পরিচালক। একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি হতে হয়েছিল ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। সেখান থেকে সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে ফের তাঁর শারীরিক অবনতি হতে থাকে। এরপরই তাঁকে ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, সেখানেই মধ্যরাতে প্রয়াণ ঘটে প্রবীণ শিল্পীর। OSA তথা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিতে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। আসল নাম অলকেশ লাহিড়ি। কিন্তু পরিচিত হন বাপি লাহিড়ি নামে। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমার সম্পর্কে বাপি লাহিড়ীর মামা। ফলে ছোট থেকে সংগীতের পরিবেশে বড় হয়েছেন বাপি লাহিড়ি। শুরুটা হয়েছিল ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে।

১৯৭৫ সালে হিন্দি ছবি জখমি দিয়ে কেরিয়ার শুরু। এরপর ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে একের পর এক হিট গান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাঁর। একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীতের ডিস্কো কিং। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কম্যান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’-এর মতো প্রচুর হিন্দি ছবিতে সুর দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। বাংলায় ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’-সহ একাধিক বাংলা ছবিতে তিনি সূর দিয়েছেন।সোনার গয়না পরার ঝোঁক ছিল বাপি লাহিড়ির। গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও উৎসাহী হয়েছিলেন তিনি। ২০১৪-য় শ্রীরামপুর লোকসভায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান। তাঁর অকাল প্রয়ানে সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

About Post Author