Home » কেন ‘গীতশ্রী’ বলা হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে

কেন ‘গীতশ্রী’ বলা হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে

সময় কলকাতাঃ সুরের জগতে একের পর এক নক্ষত্র পতন । লতা মঙ্গেশকরের পর মঙ্গলবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় । রাইচাঁদ বড়াল, শচীন দেব বর্মন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরী থেকে শুরু করে বাংলার একাধিক সংগীত পরিচালকের সৃষ্টিতে অমরত্বের জাদু সৃষ্টি করে গেছে তাঁর কন্ঠ । স্বামী, কবি শ্যামল গুপ্তের লেখা গানও গেয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় । এই সুরেলা কন্ঠই হয়ত তাঁকে এনে দিয়েছিল ‛গীতশ্রী’ খেতাব ।

গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নামটি বাঙালির কাছে চিরকালীন আবেগ বহন করে । তার সুরই তাঁকে ‘গীতশ্রী’ খেতাব এনে দেয় । ১৯৪৬ সাল ৬ এপ্রিল মাত্র ১৪ বছর বয়সে একটি বাংলা গানের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন একরত্তি সন্ধ্যা । ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ মহম্মদ দাবির খাঁ এবং রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো তাবড় তাবড় বিচারকদের কাছ থেকে তিনি প্রথম পুরস্কারও পান ।

সন্ধ্যার অপূর্ব সুরে মুগ্ধ বিচারকরা চল্লিশের দশকের ওই সংগীত পরীক্ষার নামের সাথে মিলিয়েই তাঁকে ‘গীতশ্রী’ খেতাব দেন । ১৯৪৫ সালেই তাঁর পরিচয় হয়ে ছিল সংগীত মহলের সাথে । কলম্বিয়া থেকে গিরীন চক্রবর্তীর কথায় ও সুরে রেকর্ড করেন প্রথম গান- ‘তুমি ফিরায়ে দিয়াছ’ ও ‘তোমার আকাশে ঝিলমিল করে’। এরপরেই ১৯৪৮ সালে রাইচাঁদ বড়ালের সংগীত পরিচালনায় ‘অঞ্জনগড়’ এবং রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘সমাপিকা’ ছবিতে গান তিনি । আবারও ওই একই বছরে তিন-তিনটি আধুনিক যুগের গান রেকর্ড করেন তিনি । সন্ধ্যা খেয়াল, ঠুংরি, ভজন, গজল, কীর্তন, ভাটিয়ালি, বাউল, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি সাথে একাধিক আধুনিক গানে সমান পারদর্শী ছিলেন । তিনি না থাকলেও তার এই সৃষ্টি চিরকাল শ্রোতার মনে তার উপস্থিথি মনে করাবে ।

About Post Author