Home » উত্তরবঙ্গ সফরকালে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়েই চলছে জলাশয় ভরাট

উত্তরবঙ্গ সফরকালে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়েই চলছে জলাশয় ভরাট

সময় কলকাতা ডেস্ক : বারবার জলাশয় ভরাট ও সরকারি জায়গা দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক তখন মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়েই পুলিশ চেকপোস্টের পাশেই চলছে সরকারি জায়গা দখল করে জলাশয়, ডোবা ভরাট করার কাজ। আর এই কাজ করছেন জমি মাফিয়ারা। কখনো মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি আধিকারিকদের যোগসাজশে কখনো বা আবার মার্শাল পাওয়ার ব্যবহার করে সরকারি জায়গা দখল করে মোটা টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালেই একদম রাস্তার পাশে পুলিশ চেকপোস্টের সামনেই চলছে অবৈধ ভাবে জলাশয় ভরাট সরকারি জমি দখল করে। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এর ধূপগুড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।

বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মূখ্যমন্ত্রীর সফরকালেই তার হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে এই ভাবে প্রকাশ্যে সরকারি জায়গা দখলের ঘটনা রীতিমত প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এর রাস্তার পাশে সরকারি পিডব্লিউডির ২০০ মিটার জায়গা টিনের বেড়া দিয়ে দখল করা হয়েছে আর সেই টিনের বেড়ার আড়ালে বালি পাথর এনে ফেলা হচ্ছে জলাশয় এবং ডোবায়।

পরিবেশ প্রেমীদের অভিযোগ, মূলত এই ভাবেই সরকারি জায়গাগুলোকে প্রথমে দখল নেয় জমি মাফিয়ারা, এরপর অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশে সেই জায়গাগুলো দখল করে পরে চড়া দামে বিক্রি করে দেয়।
এভাবে জলাশয় ভরাটের ফলে বর্ষাকালে যেমন জলমগ্ন হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা, তেমনি বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি পরিবেশপ্রেমী দের। এবিষয়ে অভিযুক্ত জমি ব্যবসায়ী দুলাল ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চান নি তিনি।

তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে আমল দিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু এই সব দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য দপ্তরগুলি । নাকি একশ্রেণীর পুলিশ প্রশাসন ও আধিকারিকদের সাথে যোগসাজশেই চলছে জমি দখল ও জলাশয় ভরাট? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

About Post Author