সময় কলকাতা ডেস্ক : সাংবিধানিক পদের মর্যাদা ধুলোয় লুটিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল ধনকড়, কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় রাজ্যপাল টুইটারের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের আলোচনায় ডেকেছেন তা সঠিক পদ্ধতি নয়। তাঁর ধারণা রাজ্যপাল মূলতঃ রাজনীতি করার জন্য এমনটা করেছেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি আলোচনার জন্য ডাকতেই পারেন। কিন্তু তা টুইটারের মাধ্যমে কখনোই হতে পারে না।’ রাজ্যপাল বিজেপি এজেন্টের মত কাজ করছেন বলে ধিক্কার জানান তিনি। উল্লেখ্য এর আগে চলতি সপ্তাহের যে কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে উপস্থিত হতে অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।তিনি তাঁর চিঠিতে লেখেন “সম্প্রতি বেশ কিছু বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে তথ্য চেয়েও পাওয়া যায়নি। সেগুলি না পেলে রাজ্যে সাংবিধানিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। যেটা এড়িয়ে চলা আমাদের দুজনেরই সাংবিধানিক কর্তব্য। আপনার তরফ থেকে দীর্ঘদিন কোনও জবাব না পাওয়ায় আমার সব আলোচনার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাই আপনার কাছে আমার অনুরোধ চলতি সপ্তাহের যে কোনও দিন রাজভবনে এসে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসুন।” এই বিষয়ে নবান্নে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। আর সেই চিঠির প্রতিলিপিও তিনি টুইটও করেছেন। বিজেপি প্রথম থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি করছে। বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। যা মোটেই সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ।
অন্যদিকে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় পিপিপি মডেল আনতে চায় সরকার। বিষয়টিকে সামনে রেখে বিরোধীরা প্রতিবাদে নেমেছে। সে প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্র যদি পিপিপি মডেল আনতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রে তবে রাজ্য কেন নয়। লক্ষ্য রাখতে হবে রাষ্ট্রের পরিপন্থী হয় আর শিক্ষা ক্ষেত্রে এই মডেল চালু হলে প্রভূত উন্নতি হবে। অনেক বেসরকারি উদ্যোগপতিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে যা আখেরে শিক্ষার্থীদের লাভ হবে। পাশাপাশি, সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এর বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানান কুণাল ঘোষ। কটাক্ষ করে বলেন, ‘উনি আগে বাংলা ও নিজের দলকে বুঝুন ভালো করে। তারপর এগুলি নিয়ে আলোচনা করা যাবে। সবে ক্ষমতায় এসেছেন উনি। তাই ওনার আগে দল সামলানো উচিত।’
সামনেই ১০৮ পুরসভার নির্বাচন। কিন্তু বেশিরভাগ জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। এরপর প্রার্থীর জন্য বিজেপিকে কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে হবে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
More Stories
নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে, নির্দেশ শিয়ালদহ আদালতের
ডিগ্রি বিতর্কে পুলিশি তলব, হাজিরার আগেই হাই কোর্টে আন্দোলনকারী ডা.আসফাকুল্লা নাইয়া
দার্জিলিঙে তুষারপাত! জাঁকিয়ে শীতের দেখা মিলবে দক্ষিণবঙ্গে?