Home » এবারের পুর ভোটে ইভিএম গুলিতে ভিভি প্যাট ব্যবহারের সুযোগ নেই, কারচুপির আশঙ্কা বিজেপির

এবারের পুর ভোটে ইভিএম গুলিতে ভিভি প্যাট ব্যবহারের সুযোগ নেই, কারচুপির আশঙ্কা বিজেপির

সময় কলকাতা ডেস্কঃ পুর নির্বাচনের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন ইভিএম কেই বেছে নিয়েছে। রাজ্যের শাসক দল লোকসভা ভোটের পর ব্যালটে ভোট করার দাবি করেছিল। এবার রাজ্যে পুরভোট হচ্ছে   ইভিএম মেশিনে। সেই ইভিএম মেশিন নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ পুর ভোটে ব্যবহৃত ইভিএম গুলি সবই পুরানো দিনের।তাঁর দাবি রাজ্যে কম দামের হাওয়াই চটি পরে ঘোরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আপডেটেড আ্যাপেল কোম্পানির মোবাইল ব্যবহার করেন। বিজেপি সভাপতির প্রশ্ন নিজে বাজারের সবচেয়ে আপডেটেড ফোন ব্যবহার করেন আর রাজ্যের গণতন্ত্রের প্রশ্নে পুরানো দিনের ইভিএম কেন ব্যবহার করা হচ্ছে?

সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ এই পুর ভোটে ব্যবহৃত ইভিএম গুলিতে ভিভি প্যাট ব্যবহারের সুযোগ নেই। আর ইভিএমের নম্বর প্লেটের এর উপর কোন পেপার সিলও ব্যবহার করা হচ্ছে না।ফলে শাসক দল রাজ্য প্রশাসনকে ব্যবহার করে সহজেই সেখানে কারচুপি করে ফলাফল উল্টে দিতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা। সোমবার বালুরঘাটে  ২২ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের এলাকায় প্রচারে এসে তিনি এই অভিযোগ করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের খাদিমপুর এলাকায় সুকান্ত মজুমদার এর বাড়ি। সেই এলাকা দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচার সারেন তিনি। এদিন  আসন্ন পুরসভার নির্বাচনে পুরনো মডেলের ইভিএম মেশিন ব্যবহার করাকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারকে বিঁধতে ছাড়লেন না সুকান্ত মজুমদার । তাঁর দাবি রাজ্যে ফ্রী এন্ড ফেয়ার পুরভোট হলে একশো আটটি পুরসভাতে বিজেপি বহু পুরসভার দখল পাবে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বালুরঘাট পুরসভায় ভালো ফল করেছিল।পুর নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির কর্মীদের সেই উদ্যোগের ঘাটতি ছিল।

 

 

খোদ রাজ্য সভাপতি মাঠে নামতেই উজ্জীবিত হয় তাঁরা। কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে একের পর এক বাণে বিদ্ধ করতে থাকেন তিনি।তাঁর অভিযোগ রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সার  ওষুধও অমিল।রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দালাল অথবা তৃণমূল নেতা ছাড়া কেন রোগী ভর্তি করা যায় না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।এই দিন সুকান্ত মজুমদার টিভি চ্যানেলের দপ্তরে তৃণমূলের মুখপাত্রের সাক্ষাৎ নিয়ে সাফাইও দেন তিনি। তাঁর দাবি সারদা মামলায় জেল খাটা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নিমন্ত্রিত ছিলেন তিনি জানতেন না।তাই হঠাৎ দেখা হওয়া কুণাল ঘোষের সঙ্গে তাঁর সৌজন্যের সাক্ষাৎ হয়েছে মাত্র।পুর ভোটের আগে শাসক দলের বিধায়কদের ভাষা ব্যবহার নিয়েও সোচ্চার হন তিনি।তাঁর দাবী দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহের ভাষা শুনে তাঁর বমি আসে।তবে হাওড়ার আনিস আলি হত্যা মামলা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির অবস্থান খুব পরিস্কার। তিনি বলেন পরিবারের দাবি মেনে অবিলম্বে সিবিআইকে এই হত্যার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক।

About Post Author