সময় কলকাতা ডেস্কঃ কবিগুরুর সাধের শান্তিনিকেতন এখন হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বির মত। বছরের প্রায়ই সময় পড়ুয়াদের আন্দোলনের পাশাপাশি উঠে আসে বিশ্বভারতী কর্ত্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ। হাল আমলে করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল প্রায় ২২ মাস। সেই সময় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলও বন্ধ ছিল। কিন্তু ফের সরকারি অনুমতিতে সমস্ত শিক্ষাঙ্গন খুলে গেলেও খোলেনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল। সেই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস। ছাত্র আন্দোলনের জেরে উত্তাল গোটা ক্যাম্পাস,লাটে উঠেছে পড়াশোনা।পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল খুলতে হবে। কেন্দ্রীয় অফিস ও উপাচার্যের সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি তাঁদের।হোস্টেল না খোলার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাইরে থেকে বিশ্বভারতীতে পড়তে আসা হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের। ক্লাস করার জন্য মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘর ভাড়া নিতে হচ্ছে তাঁদের।এই সমস্যা মেটাতেই অবিলম্বে হোস্টেল খোলার দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন পড়ুয়ারা।
পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি অনলাইনে ক্লাস করার পর কোনো ভাবেই অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। প্রথমে তারা বলাকা গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেও পরে তারা মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে গেট খুলে উপাচার্যের অফিসের সামনে চলে আসে। পুলিশ প্রতিবাদ করায় শুরু হয় বচসা। পড়ুয়াদের বক্তব্য যদি অবিলম্বে বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ হোস্টেল গুলিকে না খুলে দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ছাত্র ছাত্রীরা। প্রতিদিন এইসব দেখে বীতশ্রদ্ধ এক আশ্রমিকের প্রার্থনা “শান্ত হে, মুক্ত হে, হে অনন্তপুণ্য, করুণাঘন, ধরণীতল কর’ কলঙ্কশূন্য।”
ফের শিরোনামে বিশ্বভারতী, হোস্টেল খোলার দাবিতে ছাত্র আন্দোলন অব্যাহত

More Stories
মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতার গাড়িতে আগুন
বাবাকে দিয়েই মেয়ের বমি পরিষ্কার করালো চিকিৎসক! উত্তেজনা শান্তিপুরে
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তা! গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা-সহ ২