Home » ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন দুই বঙ্গ তনয়া পড়ুয়া , উৎকণ্ঠায় গোবরডাঙ্গা ও হাবড়ার দুই পরিবার

ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন দুই বঙ্গ তনয়া পড়ুয়া , উৎকণ্ঠায় গোবরডাঙ্গা ও হাবড়ার দুই পরিবার

সময় কলকাতা : ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। আর এরই মধ্যে প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়া ইউক্রেনে পড়তে ব্যস্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার মধ্যে ভারত সরকারের তরফে বেশ কিছু পড়ুয়াকে ফেরত আনা হলেও আরও অনেক পড়ুয়াকে ফেরত আনা যায়নি। আকাশ পথ বন্ধ থাকার কারনে।তেমনই  ডাক্তারি পড়তে গিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন দুই বঙ্গ তনয়া নিশা বিশ্বাস ও স্বাগতা সাধুখাঁ। উৎকণ্ঠায় দিন কাটাছে গোবরডাঙ্গা ,হাবড়ার স্বাগতা ও নিশার পরিবার। ইতিমধ্যেই তাদের ফিরিয়ে আনতে দুই পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে।ঘটনাচক্রে একই জেলা থেকে দুই জনই যান ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে । উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা ও হাবড়ার বাসিন্দা স্বাগতা ও নিশা ভর্তি হন ইউক্রেনের চিফ মেডিকেল কলেজে। কিন্তু করোনার কারণে ক্লাস হচ্ছিল না এতদিন । বাধ্য হয়ে হোস্টেলে থেকেই এতদিন অনলাইন ক্লাস করছিলেন দুজনে। কিন্তু এরই মধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ায় মেয়েদের নিয়ে একপ্রকার চরম উৎকন্ঠায়  দিন কাটচ্ছে নিশা ও স্বাগতার পরিবার।দ্রুত মেয়েদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্যে দুই পরিবারের তরফেই বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি নিশার পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে।

চোখ মুছতে মুছতে নিশার মা বলেন “শেষ যেদিন মেয়ে ফোন করেছিল সেদিনই বলছিল আমাদের খাবার শেষ হয়ে আসছে । মেয়ে পড়াশোনা ছাড়া কিছুই জানেন না। ফলে একপ্রকার চিন্তায় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছি আমরা। সরকারের কাছে আর্জি যত দ্রুত সম্ভব আমরা যেন আমাদের মেয়েকে ফিরে পাই।

অন্যদিকে স্বাগতার পিসি চোখেমুখে উৎকণ্ঠার ছাপ। ভাইজিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় তিনি ও তার পরিবার। কবে ফিরবে বাড়ির মেয়ে দিন গুনছে হাবড়ার স্বাগতার পরিবার।আন্তর্জাতিক মহলের আশঙ্কা সত্যি করেই ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বেধেছে।  ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান শহর কারকিভ কিয়েভেও বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকও বসে নেই। ইউক্রেনে বসবাসকারী ও পড়তে যাওয়া ছাত্র ছাত্রীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে  উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি।

About Post Author