Home » ফের সংবাদ মাধ্যমের ওপর হামলা, ছাপ্পা ভোটের খবর করতে গিয়ে এলোপাথাড়ি মারধোর সাংবাদিকদের

ফের সংবাদ মাধ্যমের ওপর হামলা, ছাপ্পা ভোটের খবর করতে গিয়ে এলোপাথাড়ি মারধোর সাংবাদিকদের

সময় কলকাতা ডেস্কঃ ফের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্থম্ভ সংবাদ মাধ্যমের ওপর হামলার অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে বেধড়ক মারধোর করল শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী। এমনটাই অভিযোগ। বুথের মধ্যেই চলে এলোপাথারি মারধোর। আর পুলিশ সেখানে ছিল নীরব দর্শক। মধ্যমগ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২০৪ ও ২০৫ নম্বর বুথে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে।তাদেরই এজেন্ট এই দুটি ইভিএম ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।আর শাসকদলের অভিযোগ শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া চলার সময়ই বাম প্রার্থী দুটি ইভিএম  ভাঙচুর করে। এই খবর সংবাদ মাধ্যম পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে এলে সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিনিধি ছবি তোলার মুহূর্তেই হঠাৎ করেই শাসক দলের একাধিক গুন্ডাবাহিনী বুথের মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের ওপর চড়াও হয়। চলে এলোপাথারি মারধোর। একাধিক সংবাদ প্রতিনিধিকে মাটিতে ফেলে চলে হামলা। এমনকি ক্যামেরা ভাঙচুরও করা  হয়।  পুলিশ পুরো ঘটনাটি নীরব  দর্শক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকে। অভিযোগ সকাল থেকেই শাসকদল এখানে ছাপ্পা ভোট মারছিল। তারপরেই ইভিএম ভাঙচুর করে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী।শাসক দলের গুণ্ডাবাহিনী একাধিক সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা চালালেও পুলিশ নীরব দর্শক হিসেবে দেখে যায়। ওই মুহুর্তে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ।কিন্তু আর কতদিন সাংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের এই ভাবে মার খেতে হবে? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানান মহলে। প্রতিবার নির্বাচন আসে আর প্রতিবার বলির পাঁঠা করা হয় সাংবাদিকদের। প্রতিবারই শাসক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। ব্যাস ওই টুকুই। আবার যেকে সেই।যে কোন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে খবর করতে গেলেই মার খেতে হয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের। এই সাংবাদিক হেনস্থার শেষ কোথায় কেউ জানেনা। কিন্তু এটা আজ বলতে দ্বিধা নেই যে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা যতই মার খাক গণতন্ত্রের চতুর্থ স্থম্ভের মাথা নত হতে দেবে না কোনমতেই। খবরের সত্যতাকে মূলধন করেই এগিয়ে যাবে সাংবাদিকরা।

 

 

About Post Author