সময় কলকাতা ডেস্কঃ বিশ্বভারতীতে অশান্তি অব্যাহত।পড়ুয়াদের একাংশের দাবি,অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল খুলে দিতেই হবে। সোমবার ছাত্র পরিচালক দপ্তরের বাইরে সারারাত ধরে অবস্থান করে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।দীর্ঘক্ষণ ধরে হত থাকা এই বিক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পেতে মঙ্গলবার সকালে বিশ্বভারতীর কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল হামাগুড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।কিন্ত ছাত্রছাত্রীরা মাটিতে শুয়ে থাকার কারণে তিনি বিফল হন। অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভের কারণে বিশ্বভারতীর স্টাফ ও অধ্যাপকেরা কেন্দ্রীয় কার্যালয় গেটের সামনে জমায়েত হন। বছরের প্রায় সময়ই পড়ুয়াদের আন্দোলনের পাশাপাশি উঠে আসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ। করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল প্রায় ২২ মাস।সেই সময় বিশ্বভারতীর হোস্টেলও বন্ধ ছিল।কিন্তু ফের সরকারি অনুমতিতে সমস্ত শিক্ষাঙ্গন খুলে গেলেও খোলেনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল।সেই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস।ছাত্র আন্দোলনের জেরেই উত্তাল গোটা ক্যাম্পাস,লাটে উঠেছে পড়াশোনাও।
গত শনিবারও হোস্টেল খোলা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। তাঁর সঙ্গে চলে বিক্ষোভ। তাতেও হুশ ফেরেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।এখনও পড়ুয়ারা তাঁদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখে আন্দোলন করবে বলে জানা গিয়েছে। হোস্টেল না খোলার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাইরে থেকে বিশ্বভারতীতে পড়তে আসা হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে। ক্লাস করার জন্য মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘর ভাড়া নিতে হচ্ছে তাঁদের
এই সব সমস্যা মেটাতেই অবিলম্বে হোস্টেল খোলার দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন পড়ুয়ারা।পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি অনলাইনে ক্লাস করার পর কোনোভাবেই অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবেনা।যতক্ষন না তাঁদের এই দাবি মানা হচ্ছে ততক্ষন এই বৃহত্তর আন্দোলন জারি থাকবে বলে ছাত্রছাত্রীরারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের, লাটে উঠেছে পড়শোনা

More Stories
পুলিশি তলবের খাঁড়ার মধ্যেই বোর্ডের শো-কজ! অস্বস্তিতে কর্মহারারা
তৃণমূলের প্ররোচনায় হিংসা, নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ! মুর্শিদাবাদ নিয়ে রিপোর্ট আদালত গঠিত কমিটির
‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি পাওয়ারা ‘অযোগ্য’ই: সুপ্রিম কোর্ট