সময় কলকাতা ডেস্ক: ফল নষ্ট না হওয়ার জন্য কুল গাছে লাগানো হয়েছে জাল। সেই জালে আটকে গিয়ে মৃত্যু হচ্ছে বিভিন্ন জাতের পাখিদের। এই ভাবে পাখিদের মৃত্যুর ঘটনায় মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দ্রুত প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে মত পশুপ্রেমীদের। তবে জাল লাগানো ছাড়া ফল বাঁচানোর অন্য কোনো উপায় নেই বলেই জানিয়েছে কুলচাষীরা।চাষি নাজিমা বিবি বলেন, “এই চাষের ওপর নির্ভর করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ হয়। জাল না লাগালে ফল নষ্ট হয়ে যাবে। আগে আমার স্বামী পাহারা দিত পাখিরা এলে ভাগিয়ে দিত। স্বামী অসুস্থ। আমিও দেখেছি কয়েকটি পাখি মারা গেছে।
মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলের পিছনে মহুয়া পাড়ায় করা হয়েছে কুল চাষ। কুল চাষ করেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমা বিবি। এই কুল চাষের ওপর তাদের জীবন জীবিকা নির্ভর করে।তাই পাখি যাতে কুল খেয়ে নষ্ট করতে না পারে তাই গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তাতে পাখিদের হাত থেকে বাঁচানো গিয়েছে কুল। কিন্তু কুল বাঁচাতে দেওয়া জাল মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে পাখিদের জন্য। জালে আটকে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে একের পর এক পরিযায়ী পাখি। এক সঙ্গে এত পাখির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পশু প্রেমীদের দাবি, চাষ এমনভাবে করতে হবে যাতে পাখিরা সুরক্ষিত থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা পশুপ্রেমী কৃষ্ণ পাসওয়ান বলেন, “আমি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। দেখতে পাই জালে আটকে অনেক পাখি মারা গিয়েছে।দেখে খুব খারাপ লাগে । চাষ তো অবশ্যই করবেন। কিন্তু নজর রাখতে হবে যাতে পাখি না মারা যায়। না হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।”পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাখি থাকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে যাদের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলেই মনে করছে পশুপ্রেমীরা।
More Stories
পুলিশি তলবের খাঁড়ার মধ্যেই বোর্ডের শো-কজ! অস্বস্তিতে কর্মহারারা
তৃণমূলের প্ররোচনায় হিংসা, নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ! মুর্শিদাবাদ নিয়ে রিপোর্ট আদালত গঠিত কমিটির
‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি পাওয়ারা ‘অযোগ্য’ই: সুপ্রিম কোর্ট