সময় কলকাতা ডেস্ক : সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। চলছে দালালরাজ। ধান না বিক্রি করেও চাষীদের মোবাইলে ধান বিক্রির টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হওয়ার ম্যাসেজ আসছে। যদিও প্রযুক্তিগত সমস্যা বলে সাফাই বিধায়কের। এদিকে বিজেপির কটাক্ষ, দুর্নীতির কথা মেনে নিচ্ছে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ, । অন্যদিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য আধিকারিকদের মহকুমা শাসক কল্লোল রায়।
অভিযোগ, মালদহের তুলসীহাটার কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে গিয়ে বারবার গলা ধাক্কা খেয়েছে দালালদের কাছে। এমনকি প্রতি কুইন্টালে ১৫ কেজি ধলতা না দিলে ধান নেওয়া যাবে না এমনও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মহম্মদ মালেককে। আর এই মহম্মদ মালেকের মোবাইলে বারবার মেসেজ ঢুকছে ২৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করে একাউন্টে ৪৯ হাজার টাকা ঢুকেছে। একবার নয়,বারবার মেসেজ ঢুকেছে অথচ তিনি ধান বিক্রি করতে পারেন নি বলে জানান। এলাকার তুলসিহাটা কৃষক বাজারের ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান নিয়ে যান বেশ কয়েকবার।
আরও অভিযোগ, তুলসিহাটা কৃষক বাজারে ধান ক্রয় কেন্দ্রে স্থানীয় রাইস মিল মালিকরা প্রভাব বিস্তার করছে। ধান ক্রয় কেন্দ্রের আধিকারিকদের মদতে এলাকায় বাড়ছে ফড়েদের উৎপাত। আর এরই মধ্যে ওই কৃষকের মোবাইলে ধান বিক্রি না করেই একের পর এক ধান বিক্রির টাকা সংক্রান্ত মেসেজ ঢুকে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে।যদিও এ সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে এলাকার শাসক দলের বিধায়ক তজমুল হোসেন।
তিনি জানান, “প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য এই ভাবে মেসেজ ঢুকেছে। ধান ক্রয় কেন্দ্রে যে সমস্যা গুলো তৈরি হয়েছিল তা আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। পঞ্চায়েত সমিতি খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ কার্যত মেনে নিয়েছে এই দুর্নীতির কথা।”
যদিও শাসকদলের দুই প্রতিনিধির গলায় শোনা গিয়েছে ভিন্ন সুর। এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ সানিয়েছে বিজেপি। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী চাঁচল শহর থেকে দুই দিন আগেই পুলিশের কাছে ধরা পড়ে ৪ যুবক। যাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাসবুক এবং এটিএম কার্ড। আর তারপরেই হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে এরকম অভিযোগ উঠে আসছে। প্রশ্ন উঠছে দুটি ঘটনার কোন যোগ সূত্র আছে কিনা?
More Stories
পুলিশি তলবের খাঁড়ার মধ্যেই বোর্ডের শো-কজ! অস্বস্তিতে কর্মহারারা
তৃণমূলের প্ররোচনায় হিংসা, নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ! মুর্শিদাবাদ নিয়ে রিপোর্ট আদালত গঠিত কমিটির
‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি পাওয়ারা ‘অযোগ্য’ই: সুপ্রিম কোর্ট