Home » বিজেপির হিরণ জয়ী হওয়ার পরই অশান্ত খড়গপুর,প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব

বিজেপির হিরণ জয়ী হওয়ার পরই অশান্ত খড়গপুর,প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব

সময় কলকাতা ডেস্কঃ ২রা মার্চ ঘোষণা হয়েছে পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল। পুরভোটে খড়গপুর পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়।এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী জহরলাল পালকে মাত্র ১০৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তিনি।সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বিজেপির মধ্যেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।বহু দিনের শান্ত তালবাগিচার পরিবেশ মুহূর্তের মধ্যে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খড়গপুর শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তালবাগিচা এলাকায় দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন হিরণ। সেই সময় দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের সামনেই স্থানীয় এক দাপুটে বিজেপি নেতা চঞ্চল কর- কে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল হিরনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, হিরনের নির্দেশেই তার কিছু লোকজন মারধর করে দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেয় চঞ্চল কর’কে। এমনকি কেড়ে নেওয়া হয় চঞ্চল কর নামে ওই বিজেপি কর্মীর মোবাইল ফোনটিও। দলীয় কার্যালয় থেকে চঞ্চলকে বের করে দিয়ে তাকে ছাড়াই সেখানে কর্মী বৈঠক করেন সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়।প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ ই আগস্ট চঞ্চলের উদ্যোগেই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয় বিজেপির ওই দলীয় কার্যালয়টি। ঘটনা ঘটার মুহূর্তের মধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়্গপুর লোকাল থানার বিশাল পুলিশ। হিরন অবশ্য কিছুটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন।তাঁর অভিযোগ, ‘পৌরসভা নির্বাচনের আগের থেকেই স্থানীয় ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন চঞ্চল কর।বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি’।  অবশ্য এই বিষয়ে বিজেপি নেতা চঞ্চল কর এর বক্তব্য,  “হিরণ পার্টি অফিস জোর করে দখল করেছে।আমাকে মারধোর করেছে, এমনকি আমার পার্সোনাল ম্নোবাইল ফোনও হিরণ কেড়ে নিয়েছে।পুলিশ বলার পরও ফেরত দেয়নি।”এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা জহর লাল পালের বক্তব্য, “পয়সা দিলে মদ খাওয়ালে এমনিই ভোট পাওয়া যায়। গত দুমাসে বিজেপি এই এলাকায় মাতালের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি এই এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি করছে। পুরনো বিজেপি নেতারাই এই অভিযোগ করছে।”

তবে সেই কারণেই কি ব্যক্তিগত রাগ মেটাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিজেপি দলীয় কর্মীকে এভাবে হেনস্থা করলেন বিজেপির এই নেতা প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

About Post Author