সানী সময়, সময় কলকাতা : ঘুম পাড়াতে গিয়ে ঘুম পাড়ানোর গুলির বদলে ছররা বন্দুকের গুলি! মেরেই ফেলা হল চিতাবাঘকে । ভয়ংকর অভিযোগ বনদফতরের বিরুদ্ধে। বনদফতর ঘুম পাড়ানোর চেষ্টায় শেষঘুমে পাঠিয়ে দিল ক্ষিপ্ত চিতাবাঘকে। সূত্রের খবর, ঘুম পাড়ানোর বদলে গুলি করে মারা হয়েছে চিতাবাঘকে। ট্রাংঙ্কুলাইজার টিম আসার অপেক্ষা না করেই ছররা গুলি করে জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকে চিতাবাঘটিকে মেরে ফেলেছে বনদফতর, এরকম অভূতপূর্ব অভিযোগ উঠছে।যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বনদফতর।
ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউপিএসআই)- চিতাবাঘের সংরক্ষণ ও মৃত্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের দুশ্চিন্তার কথা বলে আসছে। চিতাবাঘের সংখ্যা কমছে।ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার’-এ ভারতের চিতাবাঘকে ‘বিপন্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইন করা হয়েছে চিতাবাঘকে বাঁচাতে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয় নি।আরও কঠোর হয়েছে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ। ভারতেও বনদফতরকে চিতাবাঘের অস্তিত্ব রক্ষায় মনোযোগী করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছুক্ষেত্রে চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও প্রধানত চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ যে চোরাশিকারীরা তা ডব্লিউপিএসআই মেনে নেওয়ায় বিপন্ন চিতা বাঘের রক্ষায় আরও যত্নবান হয়েছে বনদফতর । অথচ বাস্তবে উত্তরাখণ্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গ – কোথাও চিতাবাদের মৃত্যু আইন করেও আটকানো যাচ্ছে না। চিতাবাঘ সংরক্ষণের চেষ্টা যখন চলছে তখন জলপাইগুড়িতে ক্ষেপে ওঠা একটি চিতাবাঘকে শান্ত করতে গিয়ে ঘুমপাড়াতে গুলি করল বনদফতর আর সেই গুলি হয়ে উঠল চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ। ঘুমপাড়ানি গুলিতে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিল চিতাবাঘ
আরও পড়ুন অভিনেত্রী হ্যালি বেরি মেনোপজের সময় যৌনতা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটিয়ে ওঠার পথের পেয়েছেন সন্ধান
উল্লেখ্য, চিতা বাঘের হামলায় চারজন আহত হওয়ার ঘটনায় মেটেলি ব্লকের বিধান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাথা চুলকা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালে অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে ওঠে বনদফতর। গুলি করা হয় চিতাবাঘকে। ঘুমপাড়ানির গুলি না করে ছররা গুলি করে শান্ত করার চেষ্টা করা হয় চিতা বাঘটিকে যার ফলে মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ উঠেছে।বনদফতরের ‘অতিতৎপরতা’ এবং চিতাবাঘকে শান্ত করার জন্য সম্যক শিক্ষা বনদফতরের কর্মীদের রয়েছে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, এদিন চা বাগানের জল সেচের কাজ করতে গিয়ে প্রথম চিতা বাঘের হামলায় আহত হন একজন শ্রমিক, এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় খুনিয়া রেঞ্জের বনদফতরকে , বনদফতরের কর্মীরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে মানুষের ভিড় এতটাই ছিল যে মালবাজার থানার পুলিশকে আসরে নামতে হয়। এদিকে চিতা বাঘের হামলায় পরপর ৪ জন আহত হন, এরপরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে জনতা।স্থানীয় মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ডাক দেওয়া হয় ট্রাংকুলাইজার টিমকে। ট্রাংঙ্কুলাইজার টিম আসতে দেরি করায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছররা গুলি ছোড়ে বনকর্মীরা, অতঃপর নেতিয়ে পড়ে চিতা বাঘটি বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। চিতা বাঘটিকে এরপরে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে এবং পরে জানা যায় যে চিতা বাঘটি মারা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্নের মুখে বনদফতরের ভূমিকা।
আরও পড়ুন সমুদ্রগড়ে রেলের নৃশংস উদাসীনতা : রেললাইনে কিশোরীর দেহের উপর দিয়ে চলে গেল একের পর এক ট্রেন
অভিযোগ মানছে না বনদফতর। রেঞ্জার সজল কুমার দে স্বীকার করেন নি ছররা বন্দুকের গুলিতে চিতাবাঘের মৃত্যুর কথা।কিন্তু চিতাবাঘের যে মৃত্যু হয়েছে তেমন তথ্য ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন সূত্র।।
আরও পড়ুন ভুবন সোম চরিত্রের অভিনেতা সাধু মেহের প্রয়াত, শোকপ্রকাশ নরেন্দ্র মোদির
More Stories
রাজ্যপালের হাত ধরেই হল বাজেট অধিবেশনের সূচনা, স্বাগত জানালেন মমতা
পথকুকুরদের খেতে দেওয়া যাবে না, সল্টলেকে মহিলাকে মার!
জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্ব ছেড়ে কলকাতার মিছিলে চিকিৎসকরা! ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি শশীর