Home » ভেঙে সাফ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের পাঠশালা এবার নেতার বিকাশ ও সেবায় হাপিস

ভেঙে সাফ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের পাঠশালা এবার নেতার বিকাশ ও সেবায় হাপিস

সানী রায়, সময় কলকাতা,১১ জুন :  টেন্ডার নেই তো কি হয়েছে! টেন্ডার ছাড়াই তো বরাত, কি বরাত? অভিযোগ, টেন্ডার ছাড়াই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ভাঙ্গার বরাত। অভিযোগ ভাঙচুরের দায়িত্ব “সুসম্পন্ন’ করেছেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জনৈক তৃণমূল নেতা। ভেঙে যাবতীয় সামগ্রী বিক্রি করে সাফ,অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঘুঘু চরছে। অভিযোগ,সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নেতার বিকাশ ও সেবায় হাপিস। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হাপিস হল কি করে?

জানা গিয়েছে টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ভেঙ্গে ইট, কাঠ, টিন সহ সমস্ত সামগ্রী বিক্রি করে দেওয়ার জোরদার অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগের তির তৃণমূলের স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য সহ একাধিক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। কটাক্ষ বিজেপির। জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলাবাড়ি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হাপিস করার   অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলাবাড়ি এলাকায় আগে গাছতলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলত। স্থানীয় এক ব্যক্তি জমি দান করার পর প্রায় ২৪বছর আগে বাম আমলে ইট, কাঠ, টিন দিয়ে পাকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরী হয় । বর্তমানে সেখানে প্রায় ৯৮জন পড়ুয়া আছে। বহু বছরের পুরানো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। এরপর ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির তরফে নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৩লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়। কিছুদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান পুরানো কেন্দ্রটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। তারা সেই বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রোমিজুল আলম জানিয়েছিলেন, প্রশাসনের নির্দেশেই ঘরটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।কারণ নতুন করে ঘর তৈরী হবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য। কিন্তু সম্প্রতি বাসিন্দারা জানতে পারেন কোনো টেণ্ডার এবং প্রশাসনিক নির্দেশ ছাড়াই ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং ঘরের ইমারতি দ্রব্য যেমন ইট, কাঠ, টিনগুলি গোপনে প্রায় ৬০হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রোমিজুল আলম এবং আরও তিনজন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। যদিও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য রামিজুল আলম অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি ঘরটি ভেঙ্গে সমস্ত জিনিস এক জায়গায় রাখা হয়েছে। বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি পঞ্চায়েত সদস্যের।

তৃণমূল নেতার দাবি মানতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা। পাঠশালা বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হাপিস করে দেওয়ায় স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আদালতে যাওয়ার হুশিয়ারও দিয়েছেন তাঁরা । ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বও । ক্রান্তি ব্লক প্রশাসনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, বিডিও অফিস থেকে এরকম কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ঘর বিক্রির অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

About Post Author