স্পোর্টস ডেস্ক, সময় কলকাতা, ১৭ জুলাইঃ মোহনবাগান ছাড়ার পথে আর্মান্দো সাদিকু। তবে সবুজ মেরুন ছাড়লেও এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলে শেষ হচ্ছে না সাদিকু অধ্যায়ের। কলকাতার ক্লাব ছেড়ে এফসি গোয়ায় নাম লেখাতে চলেছেন আলবেনিয়ার জাতীয় দলে খেলা এই স্ট্রাইকার।
আগামী মরশুমে ভারতীয় ফুটবলের পাশাপাশি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র মূলপর্বে খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। সেই মত এবারও দেশের অন্যতম সেরা দল গড়তে চলেছে সবুজ মেরুন শিবির। দলের কোচ হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে অভিজ্ঞ হোসে মোলিনাকে। ২০১৬ সালে তাঁর প্রশিক্ষণে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় অ্যাতলেতিকো দি কলকাতা। হাবাসের অসুস্থতার কারণে এবার মরশুমে শুরুতেই মোলিনাকে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দল গঠনেও চমক দিয়েছে মোহনবাগান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে পিছনে ফেলে সই করানো হয়েছে দেশের অন্যতম সেরা রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার আপুইয়াকে। বিদেশী হিসেবে দুই ডিফেন্ডার টম অ্যালড্রেড ও আলবার্তো রদ্রিগেজকে ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। কথাবার্তা চলছে অস্ট্রেলিয়ান লিগের অন্যতম সেরা ফুটবলার জেমি ম্যাকলারেনের সঙ্গে। গত মরশুমে খেলা দুই বিদেশী দিমিত্রি পেত্রাটোস ও জেসন কামিংসকেও নতুন মরশুমে সবুজ মেরুন জার্সিতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুনঃ East Bengal : কাস্টমসের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের
ষষ্ঠ বিদেশী হিসেবে কাকে দেখা যাবে, তাই নিয়ে চলছিল জল্পনা। গত মরশুমে মোহনবাগান ডুরান্ড ও আইএসএল শিল্ড জিতলেও নজর কাড়তে পারেননি সাদিকু । দেশের হয়ে একটা সময় ইউরো কাপের মঞ্চে গোল করলেও সেই ফর্মের ধারে কাছে ছিলেন না তিনি। সেই জন্য নতুন মরশুমে সাদিকুকে দলে রাখা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। শোনা যায় ইউরো কাপারকে দলে পেতে আগ্রহ প্রকাশ করে আইএসএলের কয়েকটি ক্লাব। তাদের মধ্যে অন্যতম পাঞ্জাব এফসি ও কেরালা ব্লাস্টার্স। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে সাদিকুকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এফসি গোয়া। জানা গিয়েছে, ফুটবলারটির সঙ্গে ইতিমধ্যে ব্যাক্তিগত চুক্তি হয়ে গিয়েছে গৌড়সদের। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মানালো মার্কোজের দলেই আগামী মরশুমে খেলতে দেখা যাবে ৩৩ বছরের সাদিকুকে।
More Stories
হায়দরাবাদের পাঁচ তারা হোটেলে আগুন! ওই হোটেলেই রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ টিম
সাফল্য পাবেন অধিনায়ক ধোনি? চেন্নাই-কলকাতা ম্যাচ বাজিমাত করবেন কে?
ফের দিবালোকে প্রকাশ্যে বালি চুরির ঘটনা মালদায়