সময় কলকাতা ডেস্ক, ২১ জুলাইঃ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলে শুদ্ধিকরণের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ স্মরণের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, তৃণমূলে বিত্তবান লোক নয়, বিবেকবান লোক চাই।
তৃণমূল সুপ্রিমোর মঞ্চে বক্তব্য রাখার আগেই দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বাংলার মানুষ বিজেপিকে নয়, জিতিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই দলের নেতাদের মধ্যে যে আত্মতুষ্টি না জন্মায়। দলকে আরও বেশি শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।” সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল তৃণমূল সু্প্রিমোর বক্তব্যেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দল মানুষের পাহারাদার। দল যত জিতবে তত দায়িত্ববান হতে হবে। মানুষের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে বলেও বার্তা গেন তৃণমূলনেত্রী। এরপরেই তিনি স্পষ্ট করে দেন দুর্নীর সঙ্গে কোনওভাবে দল আপোষ করবে না। তিনি বলেন, “অন্যায় করলে আমি দলের কাউকে রেয়াত করিনা। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করি। অন্যায় করবেন না, আমি বরদাস্ত করব না। মা বোনদের সম্মান করবেন।”
সম্প্রতি দলের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে। তাঁরাও যে আইনের উর্ধ্বে নয় স্পষ্ট করে মমতা বলেন, “এমপি, এমএলএ, পুরসভা, পঞ্চায়েতের প্রধান কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ যেন কেউ না পায়। অভিযোগ উঠলে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ঘরে যা আছে তাই খেয়ে বেঁচে থাকুন। তাহলেই আপনাদের কেউ সরাতে পারবে না।”উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় খারাপ ফল হওয়া নিয়ে আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর গলায়। তিনি বলেন, “মালদহের মানুষ এবারও আমাদের ভোট দেয়নি। ওখানে কোনও আসন আমরা পাইনি। কেন যে ওঁরা আমাদের ভুল বুঝলেন, জানি না। আপনারা একজন কংগ্রেস আরেকজন বিজেপিকে ভোটে জেতালেন। তাঁরা কি আপনাদের জন্য কোনও কাজ করেছেন? আশা করি, যাঁরা এতদিন সমর্থন করেননি, তাঁরা এবার সমর্থন করবেন। আশা করি, ২০২৬-এ মালদহের আম আর আমসত্ত্ব এবার আমরাই পাব।” নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে দলনেত্রীর বার্তা, দলে কর্মীরাই সম্পদ, কেউ নেতা না, দলে সবাই কর্মী।
More Stories
ভোটাভুটি আটকানো গেল না, জেলা সম্পাদকই হারলেন জেলা কমিটির ভোটাভুটিতে
ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ কে ঘিরে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির
বাংলাতেও ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ঢোকানোর ছক বিজেপির!: মমতা