Home » Puri Jagannath Mandir Mahaprasad: পুরীর মন্দিরে মহাপ্রসাদ মিলবে বিনামূল্যে, পরিকল্পনা ওড়িশা সরকারের

Puri Jagannath Mandir Mahaprasad: পুরীর মন্দিরে মহাপ্রসাদ মিলবে বিনামূল্যে, পরিকল্পনা ওড়িশা সরকারের

সময় কলকাতা ডেস্ক, ২১ অগস্টঃ পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরের মহাভোগের স্বাদ নিতে দেশ-বিদেশের ভক্তরা হাজির হন। অনুষ্ঠান বিশেষে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। এ বার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ বিনামূল্যে পাবেন ভক্তরা। সেরকমই অভিনব পরিকল্পনা করছে ওড়িশা সরকার।

সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন সেরাজ্যের সরকারের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দ্রন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ বহু দূর থেকে মানুষ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে আসেন মহাপ্রসাদ পেতে। আমরা পরিকল্পনা করছি যাতে তাঁরা বিনামূল্যে এই মহাপ্রসাদ পেতে পারেন।” এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “সাধারণ দিনে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। উৎসব বা বিশেষ দিনে এই সংখ্যা ছাপিয়ে যায় দেড় থেকে দুই লাখ।”

প্রত্যেকদিন এত মানুষের হাতে বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ তুলে দেওয়া কী আদৌ সম্ভব? মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত থাকা সদস্যরা জানাচ্ছেন, জগন্নাথ দেবকে নিবেদন করা প্রসাদ বিক্রি করা যায় না। কিন্তু মন্দিরের ভিতরে আলাদা করে প্রসাদ তৈরি করে বিক্রি করেন সুয়ারা ও মহাসুয়ারারা। সেই প্রসাদই পৌঁছয় ভক্তদের হাতে। সেই প্রসাদের দাম নির্ধারণ করা হয় ভক্তদের সংখ্যা ও চাহিদার উপর। এখন দুটি উপায়ে সরকার বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ বিলি করতে পারেন। এক, সুয়ারা ও মহাসুয়ারাদের থেকে প্রসাদ নিয়ে।  সেক্ষেত্রে প্রসাদের যা দাম তা মেটাবে সরকার। দুই, সরকার নিজের উদ্যোগে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রসাদ তৈরি করে। কিন্তু ওড়িশা সরকার এই দুই পথের কোনটা ধরে হাঁটবেন, তার সদুত্তর দিতে পারেননি মন্ত্রী।  

আরও পড়ুনঃ জৈন আচার্য চন্দনার পথ ধরে ২৪ বছরে সংসার ছাড়ছেন মানবী আঞ্চলিয়া

তবে সরকারের এই প্রয়াস নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বিশেষ করে সমাজমাধ্যমে। সরকারের এই ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকে নেটনাগরিকই। তাঁদের অনেকের দাবি, দামের জন্য যারা মহাপ্রসাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতেন তারাও এখন প্রসাদ পাবেন। এছাড়াও মহাপ্রসাদ পাবেন গৃহহীন ও দরিদ্রেরাও। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সুয়ারা-মহাসুয়ারা নিয়োগের সভাপতি পদ্মনাভ মহাসুয়ারা সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রস্তাবে আমরাও খুব খুশি। ২০১৭ সালে এরকম একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন যদি আবার তা চালু হয়, তা হলে ভালই হবে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই উদ্যোগকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সরকারি সাহায্য।’’

About Post Author