অমলেন্দু মন্ডল,সময় কলকাতা ডেস্ক : আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন ঘোষনা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ।নির্বাচন ঘোষনা হওয়ার পরই রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রামপুরহাট পুরসভাতে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন অনেক নতুন মুখ।১৯৯৫ সালে প্রথম কংগ্রেস থেকে জয়লাভ করে রামপুরহাট পুরসভাতে পুরপতি হন ১৪ নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী শুদ্ধোধন ব্যানার্জ্জী, উপপুরপিতা হন ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী কাউন্সিলার সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। সেটিই ছিল বাম জমানায় প্রথম কংগ্রেসি পুরোবোর্ড। পাঁচ বছর পর পুনরায় নির্বাচন হয় ২০০০ সালে, তখন পরাজিত হন কংগ্রেসি পৌরপতি শুদ্ধধন ব্যানার্জ্জী। বোর্ড দখল করে বামফ্রন্ট। কিছুদিন পরে নির্দল কাউন্সিলার ও বিজেপি কাউন্সিলারদের নিয়ে বাম বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন কংগ্রেসে জয়ী কাউন্সিলার সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, অনাস্থা ভোটে হেরে যায় তৎকালীন বাম পৌরপতি বাদল বিহারী মিত্র। পৌরপতি নির্বাচিত হন কংগ্রেসি কাউন্সিলার সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। পরে আরো বহুবার চলে বোর্ড ভাঙা গড়ার খেলা।
সে সময় বোর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় নির্ণায়ক হন ৭ নং ওয়ার্ড থেকে জিতে আসা কাউন্সিলার অশ্বিনী তেওয়ারি। পরে অশ্বিনী তেওয়ারি তৃণমূলে যোগ দেন এবং পৌরপতি হন রামপুরহাট পুরসভাতে। ২০২০ সালে বোর্ডের সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তিনি কিছুদিন পুর প্রশাসকও ছিলেন। অন্যদিকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান শুদ্ধধন ব্যানার্জ্জীও ২০০০ সালের পরাজয়ের পরেই তৃণমূলে চলে আসেন। কিন্ত সংরক্ষনের কারণে বিগত ২০ বছর নিজে আর প্রার্থী হতে পারেন নি, একবার তাঁর স্ত্রী কবিতা ব্যানার্জ্জী এবং তার পুত্রবধু মধুশ্রী শর্মা প্রার্থী হয়ে দুজনেই জয় লাভ করেন।
২০২২ অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে সেই প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিজে টিকিট পেলেন তৃণমূলে। অন্যদিকে আরেক চেয়ারম্যান সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, কংগ্রেস থেকে ২০১৫ সালে বিধায়কের টিকিটে রামপুরহাট, বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন এবং বিগত লোকসভা নির্বাচনে ও কংগ্রসের প্রার্থী হন বীরভুম লোকসভা নির্বাচনে। পরাজিত হন তৃণমূলের কাছে, তিনি বীরভূম জেলা কংগ্রসের সভাপতিও ছিলেন কিছুদিন।
বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি কংগ্রস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন এবং জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি হন, পুরভোটে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন নি, কিন্তু এবারে তৃণমূল পুনরায় সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে প্রার্থী করেছেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডে।তিন প্রাক্তন চেয়ারম্যান শুদ্ধধন ব্যানার্জ্জী, সৈয়দ সিরাজ জিম্মি ও অশ্বিনী তেওয়ারি, এবার তৃণমূলের প্রার্থী। শহরবাসীর নজর ওই তিন চেয়ারম্যানের ফলাফলের দিকে। যদিও তারা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
অন্যদিকে সংরক্ষনের কোপে এবারের নির্বাচনে বাদ পরলেন দুই ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার ও আব্বাস হোসেন, দুজনের ওয়ার্ডই এবার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। অন্য কোন ওয়ার্ডে দল তাদের এবার প্রার্থী করেনি।
More Stories
RG Kar Protest Kumortuli: ‘আমার দুর্গা’-র বিচারের দাবিতে রাজপথে কুমারটুলির মৃৎশিল্পীরা, কতটা পথ পেরোলে বিচার পাওয়া যাবে, জানতে চান হাতে টানা রিক্সাচালকেরা
Trinamool Congress MP resigsn: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্যসভার পদ থেকে ইস্তফা তৃণমূূল সাংসদের
Kunal Attacks Dev: ‘তুমি চৈতন্যদেব সাজছো..’ কুণালের নিশানায় আবার অভিনেতা-সাংসদ দেব