সময় কলকাতাঃ রাজ্য জুড়ে চলছে ভোট প্রচারের লড়াই । ভোটের ময়দানে কোন রাজনৈতিক দলই এক চুল জায়গা ছাড়তে নারাজ ।এবার ভোটের প্রচারে এসে বিস্ফোরক সিপিআইএম নেতা। পুরাতন মালদা ও ইংরেজ বাজারের নির্বাচনী প্রচারে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ করেন ।এদিন তিনি বলেন, “যেমন জঞ্জাল পরিষ্কার হবে তেমনি রাজ্যের রাজনীতি থেকে জঞ্জালও পরিষ্কার করতে হবে। বিজেপি একটা ডাম্পিং গ্রাউন্ড হয়ে গিয়েছে। যত দুর্নীতিবাজ তৃণমূল অথবা বিজেপিতে চলে যাবে । সে যদি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে চলে যায় তবে কেন্দ্রীয় পুলিশের পাহাড়া পাবে।আর সে যদি বিজেপি থেকে তৃণমূলে চলে আসে তাহলে রাজ্য পুলিশের পাহাড়া পাবে। শুধু মাত্র সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকছে না। আর দুষ্কৃতীরা কেন্দ্রীয় পুলিশ অথবা রাজ্য পুলিশের পাহাড়া পাচ্ছে। মানুষ সকাল সকাল উঠে যদি ভোট দেয় তাহলে ভোট লুট রোখা যায়। গত চার পাঁচটি কর্পোরেশন ইলেকশনে আমরা যা দেখেছি সকাল নটা পর্যন্ত যেখানে ভালো ভোট হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের ভালো ভোট হয়নি। সকাল ন’টার পর বোম বন্দুক নিয়ে ভোট লুট হয়েছে। সকাল নটার মধ্যে বেশির ভাগ ভোট হয়ে গেলে বামফ্রন্ট ভাল রেজাল্ট করবেএই প্রসঙ্গে দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ৭৫ জন বিজেপি এমএলএ আছে। বামেরা খাতা খুলতে পারেনি। তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।“ তিনি আরও বলেন তৃণমূলের দয়ায় বামেরা রাজনীতি করছে । এদিন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বাম নেতা মহম্মদ সেলিম কে কটাক্ষ করে বলেন, “ভোট লুট করা ওরাই শিখিয়েছে। কিভাবে ভোট লুট করতে হয় না করতে হয় তা ওরাই ভালো জানে। বিজেপি তৃণমূল এক নয়। বিধানসভা নির্বাচনে আমরা দেখেছি সিপিআইএম বিজেপি এক হয়ে গিয়েছিল।“ সব মিলিয়ে পুরভোটের আগে সরগরম মালদা।
More Stories
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব কংগ্রেসের! কী অভিযোগ হাত শিবিরের?
হাইকোর্টের রায়ে পঞ্চায়েতে ফিরেও ঘর ছাড়া আরাবুল
জাঁকিয়ে শীত আসবে, গরম কাপড় কেনাকাটার ধুম