সময় কলকাতা ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ আনিস হত্যা তদন্তের বিশেষ তদন্তকারী দল পৌছায় হাওড়ার আমতায়। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য তুলে দেওয়া হয় আনিসের দেহ। আগেরবারের ময়না তদন্তকে ঘিরে বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছিলেন আনিসের পরিবার । তারপরই হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে তড়ঘড়ি সিটের সদস্যরা যায় আনিসের মৃতদেহ তুলতে। আনিসের পরিবারকে কোন ভাবে না জানিয়েই তদন্তকারীরা মৃতদেহ তুলতে গেলে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের।কিন্তু যদিও সিবিআইয়ের তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের করা হয় মামলা। আদালত নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারি দল সিট-ই এই হত্যাকান্ডের তদন্ত করবে। একই সঙ্গে আদলতের নির্দেশ ছিল দ্বিতীবার ময়নাতদন্তের জন্য জেলা বিচারকের উপস্থিতিতে আনিসের মৃতদেহ তুলবে সিট। এছাড়াও টিআই প্যারেডের নির্দেশও দেয় কলকাতা হাই কোর্ট । সেই নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় মৃতদেহ তোলার জন্য গ্রামে পৌছায় সিট। জেলা বিচারকের দেরিতে আসার কারণে সিটকে অপেক্ষা করতে হয়। বিচারক আমতায় আনিসের গ্রামে পৌছালে মৃতদেহ তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়।মৃত আনিসের বাবা সালেম খান আগেই জানিয়েছিলেন তিনি ওই প্রক্রিয়াতে অংশ নেবেন না। তার জায়গায় আনিসের দাদা সাবির খান উপস্থিত হন মৃতদেহ তোলার সময়। মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হবে। আর তা দেখার জন্য ভিড় জমে উৎসুক গ্রামবাসীদের।কবরস্থান থেকে মৃতদেহ তোলার গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফিও করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। সিট মৃতদেহ কবর থেকে তুলে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। এই গোটা প্রক্রিয়া জেলা বিচারকের উপস্থিতিতে করা হয়।
ইতিমধ্যেই আনিসের বাবা সালেম খানের জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকার গঠিত সিট এর ওপর ভরসা নেই তাঁর ।এমনকি দ্বিতিয়বার কবরস্থান থেকে আনিসের দেহ তুলে তদন্ত করানরও কোন ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মেনে আনিসের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্যে কবর থেকে তোলার অনুমতি দিলেন আনিসের বাবা সালেম খান। কবর থেকে আনিসের মৃতদেহ তোলার সময় আনিসের দাদার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আনিসের পরিবারের আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদও ।
More Stories
পুলিশি তলবের খাঁড়ার মধ্যেই বোর্ডের শো-কজ! অস্বস্তিতে কর্মহারারা
তৃণমূলের প্ররোচনায় হিংসা, নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ! মুর্শিদাবাদ নিয়ে রিপোর্ট আদালত গঠিত কমিটির
‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি পাওয়ারা ‘অযোগ্য’ই: সুপ্রিম কোর্ট