Home » Domjur Robbery: রানিগঞ্জের পর এবার ডোমজুড়! ভরদুপুরে সোনার দোকানে কাস্টোমার সেজে দুঃসাহসিক ডাকাতি

Domjur Robbery: রানিগঞ্জের পর এবার ডোমজুড়! ভরদুপুরে সোনার দোকানে কাস্টোমার সেজে দুঃসাহসিক ডাকাতি

সময় কলকাতা ডেস্ক: ১১ জুনঃ রানিগঞ্জের পর এবার ডোমজুড়! ফের সোনার দোকানে কাস্টোমার সেজে দুঃসাহসিক ডাকাতি। ভরদুপুরে হাওড়ার ডোমজুড়ের একটি গহনার দোকান লুট করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করা হয় গহনার দোকানের কর্মীদের। গুরুতর জখম হয়েছেন এক কর্মচারী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গোটা দোকান সাফ করে দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে হাওড়া সিটি থানার পুলিশ। 

আরও পড়ুন  ভোট মিটতেই নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকলেন মমতা, উন্নয়নের কাজে গতি আনতে হতে পারে একাধিক সিদ্ধান্ত

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ আচমকাই হেলমেট পরে ডোমজুড়ের গহনার দোকানে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। দুই বাইকে চেপে এসেছিল চারজন দুষ্কৃতী। সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। সেই সময় দোকানে দুজন মালিক ও দুই কর্মচারী ছিলেন। আচমকাই সোনার দোকানে ঢুকে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করা হয় গহনার দোকানের কর্মীদের। গুরুতর জখম হয়েছেন এক কর্মচারী। তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে সোনার দোকানে লুটপাটের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মীরা। সিসিটিভি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, গত রবিবার রানিগঞ্জের একটি নামী সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি হয়। দুষ্কৃতীরা আচমকাই সোনার দোকানে উপস্থিত ক্রেতা এবং কর্মীদের এক জায়গায় বসিয়ে রেখে লুটপাট শুরু করে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। এরপরই শুরু হয় পুলিশ এবং দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলি বিনিময়। অফিসিয়াল কারণে ঘটনাস্থলের অদূরে উপস্থিত ছিলেন জামুরিয়া থানার শ্রীপুরের আইসি মেঘনাথ মন্ডল। দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে তিনিও গুলি চালান। মেঘনাথ মন্ডলের গুলিতে জখম হন এক দুষ্কৃতী। দুপক্ষের যখন গুলি বিনিময় হয়, তখন এলাকার ব্যবসায়ীরাও রুখে দাঁড়ান। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে শোরুম ছেড়ে রানীগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় হয়ে নিয়ামতপুর -লিথুরিয়া রোড ধরে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের অনুমান, নিয়ামতপুর লিথুরিয়ার রাস্তা ধরে পুরুলিয়ার দিকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতির সময় ওই সোনার দোকানের মালিক সুদীপ রায় দোকানে উপস্থিত ছিলেন। সারারাত ধরে ডগ স্কোয়াড, বেঙ্গল পুলিশ এবং ঝাড়খন্ড পুলিশ চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছে সরিয়া এলাকায়। ডাকাতেরা রানীগঞ্জ থেকে পালিয়ে একটি চারচাকা গাড়ি করে ঝাড়খন্ড দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। পথেই গাড়ি চালকের কাছ থেকে গাড়িটি ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। চালক বাধা দিলে চালকের পায়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীরা গাড়িটি ছিনতাই করে জি টি রোড ধরে ঝাড়খন্ড বিহারের দিকে পালাতে শুরু করে। বেঙ্গল পুলিশ রানীগঞ্জ থেকেই গাড়িটির পিছু নেয়। এরপরই রাস্তায় গাড়িটিকে আটক করে গিরিডি থানার পুলিশ। পুলিশ গাড়িটিকে ঘিরে ফেললে দুষ্কৃতীরা আহত এক ডাকাতকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয়। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে লুট করা গয়না অস্ত্রশস্ত্র এবং গুলি।

#DomjurRobbery

#Latestbengalinews

About Post Author