Home » বানারহাটের বর্ষার বিপর্যয় রুখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রশাসন

বানারহাটের বর্ষার বিপর্যয় রুখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রশাসন

সানী রায়, সময় কলকাতা, ১১ জুন: কবীর সুমন কবেই বলেছিলেন, বর্ষা কবিদের চোখে মেঘদুত হলেও বর্ষা তথা মেঘদুত ভুক্তভোগীদের কাছে আহাম্মক। প্রবল বানভাসি বর্ষায় ভেসে যায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বর্ষার সময় প্রতিবছর প্লাবিত হয় বানারহাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। বানারহাটের বর্ষার বিপর্যয় সংক্রান্ত তিক্ত অভিজ্ঞতা স্মরণে রেখেছেন মহকুমা শাসক  পুষ্পা দোলমা লেপচা। মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে বিগত দিনের সেই ভয়ঙ্কর অবস্থার কথা মনে করে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করল ধূপগুড়ি মহকুমা প্রশাসন। সোমবার অফিস খুলতেই মহকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা ভুটানের সামসি জেলার প্রশাসনের আধিকারিক এবং বানারহাট ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক দের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দেখেন ভারত ভুটান সিমান্ত এলাকা । পাশাপাশি ভুটান থেকে নেমে আসা রেতী সুকৃতি নদীর অবস্থাও পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষায় ভুটানের জল হাতি নালা দিয়ে নেমে এসে প্লাবিত করে বানারহাট, বিন্নাগুড়ি এবং গয়েরকাটা ভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয় ক্ষতির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ। তাই এবার বর্ষা শুরুর আগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। সোমবার ধূপগুড়ি মহকুমা শাসক পুস্পা দোলমা লেপচা প্রথমে বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা ১ নং গ্রামপঞ্চায়েতের বিভিন্ন আই সি ডি এস সেন্টার পরিদর্শন করেন। খতিয়ে দেখেন সেখানের অবস্থা। তিনি কথা বলেন সেখানকার কর্মী এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে।

অতঃপর মহকুমা শাসক চলে যান বানাহাট ব্লকের ভারত ভুটান সীমান্ত চামুর্চিতে। কি কারনে, প্রতিবছর এই বন্যার মুখে পড়তে হয় এলাকাকে তাও সরেজমিনে   খতিয়ে দেখতে ভুটান সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত রেতী সুকৃতি নদী পরিদর্শন করেন।

ধূপগুড়ির মহকুমাশাসক পুস্প দোলমা লেপচা বলেন, “প্রতিবছর বর্ষার সময় বানাহাট ব্লকের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।কি কারনে এমন সমস্যা সৃষ্টি হয় তা খতিয়ে দেখতেই এদিন চামুর্চি এলাকায় অবস্থিত রীতি সুকৃতি নদী পরিদর্শন করা হয়েছে । সেই সাথে বানারহাট ব্লকের বিভিন্ন আইসিডিএস সেন্টারেও আমরা গিয়েছিলাম।” সবমিলিয়ে, মহকুমা শাসকের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার এবার বানারহাটকে বর্ষাকালীন  বিপর্যয়ের হাত থেকে রুখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রশাসন।।

আরও পড়ুন চলন্ত বাসের দরজা ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, হুড়মুড়িয়ে বাস থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে গেলেন যাত্রীরা

About Post Author