Home » ভূমিধসে মৃত্যুপুরী কেরলের ওয়ানড়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫০, জারি উদ্ধারকাজ

ভূমিধসে মৃত্যুপুরী কেরলের ওয়ানড়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫০, জারি উদ্ধারকাজ

সময় কলকাতা ডেস্ক, ৩ আগস্ট: ভূমিধসে মৃত্যুপুরী কেরলের ওয়ানড়। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ভারী বৃষ্টিতে ধসের জেরে তছনছ হয়ে গিয়েছে পার্বত্য অঞ্চল। মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কেরলের ওয়ানড়ে ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪৬। মাটির নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চলেছে প্রাণের সন্ধানের খোঁজ। দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখনও বহু মানুষের খোঁজ মেলেনি। ড্রোন ব্যবহার করে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিপুল সংখ্যক মানুষের জনজীবন। ধসের জেরে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে বহু গ্রাম। কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী, রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবার কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ড্রোন নিয়ে নজরদারি ছাড়াও সেনাবাহিনী কেন্দ্রের কাছে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি চেয়ে পাঠাচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে এনটিআরও-র রেকো রেসকিউ সিস্টেম এবং রিমোট সেন্সিং ইকুইপমেন্ট। 

আরও পড়ুন  মনু ভাকের কি অলিম্পিক পদক জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন? সারাদেশের চোখ এখন প্যারিসে

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই ওয়েনাড়ে ভয়াবহ ধস নামে। এদিন রাত ১টা নাগাদ মুন্ডাক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধসের খবর পাওয়া যায়। এর ঘণ্টা তিনেক পর ওই এলাকায় এক স্কুলের কাছে দ্বিতীয় ধস নামে। আশেপাশের বাড়ি ও দোকানের মধ্যে জল কাদা ঢুকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভেসে যায় একাধিক গাড়ি। এই ঘটনায় এলাকায় অন্তত ৪৫০টি পরিবার আটকে পড়ে। ভেঙে পড়ে একটি ব্রিজ। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় প্রশাসন। বর্তমানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। শাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে যেখানে ধস নেমেছে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো হয় ওই এলাকায়। উদ্ধারকাজে নামানো হয় রতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার Mi-17 এবং একটি ALH। রাজ্যের সব সরকারি এজেন্সিকে উদ্ধারকাজে হাত লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কেরলের মুন্দাক্কাই, চুরামালা, আতামালা ও নুলপুজ়া জেলা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই চার জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। টানা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। ভেঙে গিয়েছে রাস্তা, সেতু। নদীতে ভাসছে একের পর এক মৃতদেহ। সেনাবাহিনীর তরফে অস্থায়ী সেতু তৈরি করে পাহাড়ি এলাকা থেকে কমপক্ষে ২ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।

#কেরলেরওয়ানড়েভূমিধস

#LandslidesinKerala’sWanade

#latestbengalinews

About Post Author